Suvendu Adhikari: ‘অধিকারী পরিবার ছিল বলেই মমতা মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন’, অভিষেককে শান্তিকুঞ্জের অবদান স্মরণ করালেন শুভেন্দু
Suvendu Adhikari: অভিষেককে বক্রোক্তির সুরে বললেন, "অধিকারী পরিবার ছিল বলেই ওনার পিসি মুখ্যমন্ত্রী হতে পেরেছেন এবং উনি দিল্লি থেকে এসে ক্ষীর খাচ্ছেন। অধিকারী পরিবার না থাকলে জীবনে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া হত না।"
নন্দীগ্রাম : শনিবার দুপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘুরে গিয়েছেন অধিকারী গড় থেকে। কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছেন শুভেন্দুকে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে এক হাত নিয়ে বলে গিয়েছেন, পূর্ব মেদিনীপুরের আবেগকে দিল্লির বুকে বিক্রি করে এসেছে। এবার তার পাল্টা দিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। অভিষেককে বক্রোক্তির সুরে বললেন, “অধিকারী পরিবার ছিল বলেই ওনার পিসি মুখ্যমন্ত্রী হতে পেরেছেন এবং উনি দিল্লি থেকে এসে ক্ষীর খাচ্ছেন। অধিকারী পরিবার না থাকলে জীবনে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া হত না।” পাশাপাশি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আয়ের উৎস নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
উল্লেখ্য, রবিবার নন্দীগ্রামের দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন কি বাত অনুষ্ঠান শোনেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই রাজ্যের শাসক শিবির তথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে বলেন, “২০১১ সালের পরবর্তী পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রামে মানুষের মৃত্যুর পর রাজনীতি শুরু করেছেন। উনি বহিরাগত। মানে বাংলার রাজনীতির সঙ্গে ওনার সম্পর্ক নেই। দিল্লি থেকে এসে ল্যান্ড করে, রাজনীতি শুরু করেছেন। ১৫০ কোটির বাড়ি বানিয়েছেন। ৬০ লক্ষ দিয়ে ফরচুনার চাপেন। ওনার বাংলার রাজনীতিতে কোনও অবদান নেই। ছাত্র রাজনীতি, আন্দোলন, বিরোধী আন্দোলন কোথাও কোনও অবদান নেই। ওখান থেকে জুড়ে বসেছেন।”
সেই সঙ্গে রাজ্যের শাসক শিবিরের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের আয়ের উৎস নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, “কী ওনার সোর্স অফ ইনকাম, কী ওনার পেশা, এত টাকা আসছে কোথা থেকে? রুজিরা নারুলা কে? কি সম্পর্ক বিনয় মিশ্রর সঙ্গে ওনার ? কেন উনি এমবিএ লেখেন না? সুশীল সামন্ত কে?”
শনিবার হলদিয়ায় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের এক সভায় এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ শানিয়ে বলেছিলেন, ‘ইডি-সিবিআই থেকে বাঁচতে পূর্ব মেদিনীপুরের আবেগকে দিল্লির বুকে বিক্রি করেছে।” এবার নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে তারই পাল্টা আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের মাটি থেকে সম্মুখ সমরে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের সেই রায় গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষে। মমতা নয়, নন্দীগ্রামের ভোট বেছে নিয়েছে শুভেন্দুকেই। সেই নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েই এবার শুভেন্দু তাঁর পুরনো দলের জন্য শান্তিকুঞ্জের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন।