Suvendu Adhikari: ‘কেন এসি ঘরে বসিয়ে জামাই আদর?’ CBI-এর ভূমিকায় ‘খুশি’ নন শুভেন্দু
Suvendu Adhikari: শুভেন্দু বলেন, "৬০৯ জন পরীক্ষা না দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। পরীক্ষা না দিয়ে, পাশ না করে চাকরি পেয়েছেন। এর থেকে বড় প্রমাণ তো আর কিছু নেই। এবার ডেকে এসি ঘরে ১১ ঘণ্টা, ৮ ঘণ্টা বসিয়ে রেখে চা খাওয়ানোর দরকার তো নেই।"
নন্দীগ্রাম : রাজ্যের শাসক শিবিরকে একের পর এক আক্রমণ শানাচ্ছিলেন। হঠাৎ সাংবাদিকদের মধ্যে থেকে কেউ একজন প্রশ্ন উঠলেন, অনুব্রত মণ্ডলের সিবিআই তলব প্রসঙ্গে। আর তাতেই ভিতরের জমে থাকা অসন্তোষ যেন বেরিয়ে এল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গলায়। বললেন, “সিবিআইয়ের কার্যকলাপ নিয়ে আমরা মোটেই খুশি না। প্রমাণিত চোরদের ডেকে কেন জামাই আদর করছে? এদের তো ভিতরে থাকার কথা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দুর্নীতি তো অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত বাগের রিপোর্টে প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। ৬০৯ জন পরীক্ষা না দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। পরীক্ষা না দিয়ে, পাশ না করে চাকরি পেয়েছেন। এর থেকে বড় প্রমাণ তো আর কিছু নেই। এবার ডেকে এসি ঘরে ১১ ঘণ্টা, ৮ ঘণ্টা বসিয়ে রেখে চা খাওয়ানোর দরকার তো নেই।”
উল্লেখ্য, হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌটালাকে চলতি সপ্তাহেই চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং তাঁকে তিহারের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “ওমপ্রকাশ চৌটালা যেখানে আছেন, সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পাঠানো উচিত।” কয়লা দুর্নীতিতে দোষী সাব্যস্ত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মধু কোড়ার সঙ্গে একই সংশোধনাগারে ‘ভাইপো’কে পাঠানোর দাবি জানান শুভেন্দু অধিকারী।
এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার হলদিয়ায় গিয়ে বলে এসেছেন, “আমার পিছনে তো ইডি-সিবিআই লাগিয়েছে। কী করেছে? কাঁচ কলা।” শুধু এই বলেই থামেননি অভিষেক। কয়লা মামলায় অভিষেককে দুইবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দিল্লিতে তলবের পাল্টা হিসেবে বিজেপির থেকে দুই সাংসদকে ছিনিয়ে নিয়েছেন, এমন কথাও বলতে শোনা গিয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। সেই খোঁচার পর এবার মুখ খুললেন শুভেন্দু অধিকারীও। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
সাম্প্রতিককালে দেখা গিয়েছে, রাজ্যের শাসক দলের একাধিক তাবড় নেতা-মন্ত্রীকে তলব করেছে সিবিআই। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পরেশ অধিকারী, অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। আর এক বিধায়ক সওকত মোল্লাকেও ডাকা হয়েছে সিবিআই অফিসে। এই নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল। শুভেন্দুর এ হেন মন্তব্য, সেই অস্বস্তি কি আরও কিছুটা বাড়াল? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।