Suvendu Adhikari: পরিবারের একজনের ১ জুন থেকে চাকরি, ময়নার মিছিল শেষে প্রতিশ্রুতি শুভেন্দুর

Suvendu Adhikari: বিরোধী দলনেতা বললেন, 'লড়াই অনেক বাকি আছে। পরিবারকে ইতিমধ্যেই রাজ্য বিজেপির তরফে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সভাপতি এসে তাঁর পুত্রর হাতে চেক দিয়ে গিয়েছেন। আমাদের বিধায়কদের তরফে ২ লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'

Suvendu Adhikari: পরিবারের একজনের ১ জুন থেকে চাকরি, ময়নার মিছিল শেষে প্রতিশ্রুতি শুভেন্দুর
শুভেন্দু অধিকারী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 04, 2023 | 9:57 PM

ময়না: ময়নায় বিজেপি নেতা খুনে ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে বিজেপি (Bengal BJP)। বিকেল ৪ টেয় বুকে কালো ব্যাজ লাগিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্দার নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। মিছিল শেষে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের শাসক শিবিরকে। একইসঙ্গে নিশানা করলেন রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে। বললেন, ‘আজ আমাদের চোখের জলে শপথ নেওয়ার দিন। সুদে-আসলে বিজয়কৃষ্ণ ভূঁইয়ার হত্যাকারীদের শিক্ষা দিয়ে তারপর বিরাম নেব।‘ বিরোধী দলনেতা বললেন, ‘গত তিন দিন ধরে আপনারা সংগ্রাম করছেন, আমরা সঙ্গ দিচ্ছি। বিজেপি বুধ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভূঁইয়াকে খুন করা হয়েছে। তাঁর হত্যাকে আমরা পরিকল্পিত হত্যা বলে মনে করি। আর এই পরিকল্পনা করেছে জেলার পুলিশ সুপার অমরনাথ। তিনি গত দেড়-দুই বছর ধরে এই জেলাকে উত্তপ্ত করছেন। তাঁর ব্যবস্থা হচ্ছে, চিন্তা করার কোনও কারণ নেই।’

বিরোধী দলনেতা বললেন, ‘লড়াই অনেক বাকি আছে। পরিবারকে ইতিমধ্যেই রাজ্য বিজেপির তরফে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সভাপতি এসে তাঁর পুত্রর হাতে চেক দিয়ে গিয়েছেন। আমাদের বিধায়কদের তরফে ২ লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। MLA ভাতা থেকে এই টাকা দেওয়া হবে। পরিবারের একজনকে ১ জুন থেকে চাকরি করবে। দায়িত্ব আমি নিয়ে গেলাম। করে দেখাব। আমরা আমাদের কর্তব্য করব।

শুধু পুলিশ সুপারকেই নয়, একইসঙ্গে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম হাসানকেও বিঁধলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। তাঁকে ‘তোলাবাজ’ বলেও আক্রমণ করেন তিনি। জেলার তৃণমূল নেতাদেরও আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু। ময়নার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান, প্রাক্তন মন্ত্রী ও তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র এবং ময়নার প্রাক্তন বিধায়ক সংগ্রাম দলাইকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। শেখ শাহজাহানকে একহাত নিয়ে বললেন, ‘জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের মতোই তোমার অবস্থা হবে। সকালটা দুপুর হতে পারে, দুপুরটা সন্ধ্যা হবে না।’