Kanthi Hospital: রোগীর মৃত্যু, পুলিশের সামনেই হাসপাতাল ভাঙচুর পরিজনদের
Purba Medinipur: পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির ঘটনা। সেখানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধন্ধুমার কাণ্ড ঘটে।
কাঁথি: রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা কাঁথিতে। হাসপাতার ভাঙচুরের অভিযোগ। পরে কাঁথি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির ঘটনা। সেখানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। মৃত পরিবারের অভিযোগ চিকিৎসার গাফিলতির জন্য মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, নার্সিংহোমে ভর্তি করার পরেও রোগীর পরিবারকে না জানিয়ে রাতের অন্ধকারে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ। ফিরে এসে এই নার্সিংহোমে রোগীর মৃত্যু হয়। এরপর তৈরি হয় উত্তেজনা।
ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁথি থানার পুলিশ। যদিও তাদের সামনেই চলে হাসপাতালে সাইনবোর্ড কাচের দরজা ভাঙচুর। অবশেষে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মৃত পরিবার ও পুলিশের সহযোগিতায় মৃত দেহকে বাইরে আনা হয়। তার মাঝেও ক্ষিপ্ত জনতা এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনেন।
এর আগেও নাকি এই ধরনের মৃত্যুর ঘটনা বহুবার ঘটেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন মৃতের আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের লোকজন।বারংবার এই হাসপাতালে মৃত্যুর ঘটনা বা চিকিৎসায় গাফিলতির ঘটনা ঘটলেও কোনও রকম ব্যবস্থা বা তদন্ত করা হয়নি।এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পরিবার সূত্রে খবর, মৃত নাম শ্যামল মিত্র (৭০)। তিনি কাঁথি শহরের অভিজাত পরিবহন এক ব্যবসায়ী।
এই বিষয়ে জেনারেল ম্যানেজার বীনিতা জোশি বলেন, ‘রোগীর ছেলে এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। উনি জিজ্ঞাসা করেন স্বাস্থ্য কার্ডের পরিষেবা ডায়ালিসের সময় পাওয়া যায় কি না। আমি বলি হ্যাঁ। সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই কারণ ওই হাসপাতালের যে ডাক্তারকে দেখিয়ে উনি এখানে আনেন সেই ডাক্তার বলেন রোগীর অবস্থা ভাল নয়। সেই কারণেই নিয়ে যাই।’