CAA হলে সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র নষ্টের প্রশ্ন নেই : শান্তনু ঠাকুর
CAA : রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে চলতি বছরেই বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট। তারপরেই ২০২৪ সালে রয়েছে লোকসভা ভোট। এমতাবস্থায়, নতুন করে সিএএ ইস্যু তুলে জল মাপতে চাইছেন রাজনীতির কারবারিরা।
হলদিয়া : “সিএএ হলে সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র নষ্টের প্রশ্ন নেই, বাংলাদেশ পাকিস্থান ও আফগানিস্তান থেকে যেসব নিপিড়িত মানুষজন এদেশে এসেছেন তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গ ভারতের বাইরে নয়,পার্লামেন্টে যে আইন হবে তা মানতে হবে।” পঞ্চায়েত ভোটের আগে হলদিয়া বললেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। এই সিএএ-এনআরসি নিয়ে কয়েক বছর আগে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। আন্দোলনের আঁচ এসে পড়েছিল বাংলাতেও। কলকাতার পার্ক সার্কাসে রাত জেগে চলেছিল সিএএ-এনআরসি বিরোধী আন্দোলন। যদিও বারবারই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছিলেন বিজেপি নেতারা। তবে বিরোধীতায় মুখর হয়েছিল বিরোধীরা। ‘নো ভোট টু বিজেপির’ ধরে বিজেপি বিরোধীতা শুরু হয়েছিল এ রাজ্যেও। এদিকে বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। তার আগেই ফের বিজেপি নেতাদের শোনা যাচ্ছে সেই সিএএ-র কথা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে চলতি বছরেই বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট। তারপরেই ২০২৪ সালে রয়েছে লোকসভা ভোট। এমতাবস্থায়, নতুন করে সিএএ ইস্যু তুলে জল মাপতে চাইছেন রাজনীতির কারবারিরা। প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষে সিএএ-র পক্ষে জোরালো সওয়াল করতে দেখা গিয়েছিল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। “ভরসা রাখুন প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপর। আর একটা লোকসভা ভোট পেরোবে না, তার আগেই আপনারা সিএএ কার্যকর দেখতে পাবেন। গুজরাটে কার্যকর শুরু হয়ে গিয়েছে, এখানেও হবে।” নদিয়ার ধানতলার সভা থেকে এ কথা বলতে শোনা গিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। এবার কার্যত শুভেন্দুর লাইনে হেঁটেই ফের সিএএ-র পক্ষে জোরালো সাওয়াল করলেন বিজেপি সাংসদ তথা মতুয়া সমাজের অন্যতম প্রতিনিধি শান্তনু ঠাকুর।
তবে এই প্রথম নয়, কিছুদিন আগেই সিএএ নিয়ে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। রাজ্যের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেছিলেন, “যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো যদি রাজ্য সরকার সমর্থন না করে, তাহলে সেটা করা সম্ভব হয় না। যেটা পশ্চিমবঙ্গের জন্য নেগেটিভ। কারণ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী এটিকে সমর্থন করেননি বলে রাজ্যে এটি লাঘু করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু এখানেই আমাদের বড় সমস্যা। আমি মনে করি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে ডিক্লেয়ারেশন দিয়েছেন, সেটি একদম ঠিক। আমাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমাদের প্রক্রিয়া চলছে।”
এদিন হলদিয়াতেও কার্যত একই লাইনে হেঁটে তিনি বলেন, “সিএএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আড়াইশোর কাছাকাছি কেস রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট এর স্ট্যাটাস নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে। বিরোধীদের দাবি সিএএ হলে ভারতের সার্বভৌমত্বের ক্ষতি হবে, গণতন্ত্রের ক্ষতি হবে। কিন্তু, কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য এই আইন করা হয়নি। বাংলাদেশ পাকিস্থান ও আফগানিস্তান থেকে যেসব নিপিড়িত মানুষজন এদেশে এসেছেন তাঁদের নাগরিকত্ব দিতে এটা করা হয়েছে। মানবাধিকারের ক্ষেত্রেও এটা ভারত করতে পারে। সেই অধিকার ভারতের রয়েছে। তাই বিরোধীদের দাবি ধোপে টিকবে না। সুপ্রিম কোর্টও শীঘ্রই রায় দেবে। আমি আশা করি চব্বিশের আগে এটা হচ্ছে।”