BJP Worker Murder: বিজেপি কর্মীকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার এলাকার দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা!
East Medinipur: গোয়ালতোড় এলাকা থেকে আজ গ্রেফতার করা হয় তাকে।
ভগবানপুর: ভগবানপুর বিজেপি কর্মী পিটিয়ে মারার ঘটনায় স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযুক্তের নাম তাপস দলপতি। পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) গোয়ালতোড় এলাকা থেকে আজ গ্রেফতার করা হয় তাকে। আজই কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
এই ঘটনায় বিজেপি নেতা দেবব্রত কর বলেন, “খুনের ঘটনায় একজন জড়িত ছিল না। আমরা চাই এর পাশাপাশি আরও যেসকল মানুষজন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন তাদেরও গ্রেফতার করুক পুলিশ। কারণ তারাও প্রভাবশালী এবং এলাকায় সন্ত্রাস করে বেড়ায়। এরা এলাকায় প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘোরাঘুরি করছে। শুধু একজনকে ধরলে চলবে না। বাকিদেরও গ্রেফতার করতে হবে। ”
রবিবার মৃত বিজেপি কর্মী চন্দন (শম্ভু) মাইতির স্ত্রী লক্ষ্মীরানি মাইতি এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা সহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই নড়েচড়ে বসে ভগবানপুর থানার পুলিশ। সোমবার রাতভর তল্লাশি চালিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা রোডে একটি লজ থেকে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে বলে জানা যাচ্ছে।
ভগবানপুর থানার ওসি নাড়ুগোপাল বিশ্বাস বলেন, ” অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তকে হেফাজতে চাওয়া হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ।”
প্রসঙ্গত, ভাইফোঁটার দিন খুন হন চন্দন মাইতি। জানা গিয়েছে, তিনি বিজেপির শক্তিকেন্দ্রের যুব নেতা ছিলেন। ওইদিন সকালে দেড়িয়া দিঘি এলাকার নান্টু প্রধান কলেজের কাছে কেলেঘাই নদীর পাড় থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। বিষয়টি নজরে আসতেই এলাকাবাসী খবর দেয় পুলিশে। ভগবানপুর থানার পুলিশ পৌঁছে যায় ওই এলাকায়। দেহটি উদ্ধার করে প্রথমে ভগবানপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এবং পরে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ওই বিজেপি কর্মীর।
রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয় বিজেপি কর্মীকে (Bjp Worker)। তৃণমূলই এই কাজ করেছে অন্তত এমনটাই অভিযোগ করছেন তাঁরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার শাসক দলের। সেই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার ১০ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দেয় বিজেপি (BJP)।
রবিবার মৃত বিজেপি কর্মী চন্দন মাইতির বাড়িতে যান পুরুলিয়ার সাংসদ জ্য়োতির্ময় সিং মাহাত। তিনি বলেন, “আমাদের পুলিশের উপর কোনও আস্থা নেই। পুলিশ এর তদন্ত করবে না। আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। যেভাবে আমাদের কর্মীকে টেনে এনে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে তাতে সিবিআই তদন্ত হওয়া দরকার। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা এমনিতেও নানা জায়গায় তদন্ত করছেন, আমরা চাই ভগবানপুরেও আমাদের দলের কর্মী খুনে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তদন্ত করুন। পাশাপাশি, গোটা ভগবানপুর জুড়ে ১০ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছি আমরা।”
বিজেপির অভিযোগ, চন্দনকে রাস্তা থেকেই তুলে নিয়ে যায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাঁরাই প্রথমে পেটানোর পর ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে ওই বিজেপি কর্মীকে।