Unknown Fever: এগরায় ৮০, কাঁথিতে ১৩০; বাড়ছে জ্বর-যন্ত্রণা

Fever panic in East Midnapore : অজানা জ্বরের বাড়বাড়ন্ত শুরু হওয়ার পর থেকে, এগরা মহকুমা হাসপাতালের এসএনসিইউ (SNCU)-তে ৩ মাস থেকে ৫ বছরের শিশু এবং ৮ বছর থেকে ১০ বছরের শিশু মিলিয়ে জ্বর, সর্দি,কাশি,নিয়ে ভর্তি হয়েছে প্রায় ৮০ জন।

Unknown Fever: এগরায় ৮০, কাঁথিতে ১৩০; বাড়ছে জ্বর-যন্ত্রণা
রাজ্যে শিশুদের বিনামূল্যে নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 17, 2021 | 7:13 PM

কাঁথি : জ্বর-যন্ত্রণা আরও তীব্র হচ্ছে জেলায়। অজানা জ্বরে অসুস্থ ৮০ জন শিশু ভর্তি এগরা হাসপাতালে। কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ১৩০ জন শিশু। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের নমুনা পরীক্ষা করে স্ক্রাব টাইফাসের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগেরই জ্বরের কারণ এখনও অজানা।

হাসপাতাল ছাড়াও ভিড় বাড়ছে বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রগুলিতে। এদিকে শিশুদের মধ্যে অজানা জ্বরে (Unknown Fever)আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে । উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ সব জায়গার একই ছবি। অজানা জ্বরের কোপ পড়েছে এগরা-কাঁথি সহ পূর্ব মেদিনীপুরে অন্যান্য এলাকাগুলিতেও।

চিকিৎসকদের একাংশ অবশ্য বলছেন, প্রতিবছর সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসে অর্থাৎ, যে সময়টায় হালকা গরম আবার হালকা ঠাণ্ডা থাকে, এই সময়ে শিশুরা ভাইরাল জ্বরে বেশি আক্রান্ত হয় । এই জ্বরে আক্রান্ত হলে বাচ্চাদের নাক দিয়ে জলের মতো সর্দি ঝরতে শুরু করে। সঙ্গে প্রচন্ড জ্বর। দু’এক দিনের মধ্যে শ্বাস কষ্টও শুরু হয়। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটা কমে যায়।

তবে চিকিৎসকদের কথায় শুরুতে চিকিৎসা হলে শিশুরা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে ।

অজানা জ্বরের বাড়বাড়ন্ত শুরু হওয়ার পর থেকে, এগরা মহকুমা হাসপাতালের এসএনসিইউ (SNCU)-তে ৩ মাস থেকে ৫ বছরের শিশু এবং ৮ বছর থেকে ১০ বছরের শিশু মিলিয়ে জ্বর, সর্দি,কাশি,নিয়ে ভর্তি হয়েছে প্রায় ৮০ জন।

এগরা মহকুমা হাসপাতালের শিশু চিকিৎসক ডক্টর প্রত্যয় রায়ের কথায়, ভর্তি হওয়া শিশুদের প্রায় বেশিরভাগই বিভিন্ন উপসর্গের শিকার। জ্বর, সর্দি, কাশি, এবং ইনফুয়েঞ্জ়া। তবে কোনও ভয়ের কারণ নেই বলেই আশ্বস্ত করছেন তিনি। বলেন, “জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের থেকে আমাদের মেডিকেল টিম তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। মেডিক্যাল টিমের নির্দেশ মতো অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসা চলছে। কোনও অসুবিধা নেই এখন।”

শিশু চিকিৎসকদের পরামর্শ, শিশুদের যাতে কোনওভাবে ঠাণ্ডা না লাগে, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এই সময় শিশুদের বাইরে নিয়ে না যাওয়াই ভাল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একটু সতর্কতা ও চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চললে শিশুরা ভাল থাকবে বলে জানিয়েছে এগরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান নন্দ দুলাল মাইতি বলেন, “করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই এই অজানা জ্বর কিংবা মরশুম পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্বর, সর্দি,কাশি, এই সব উপসর্গ নিয়ে শিশুরা ভর্তি হয়েছে। রাজ্য জুড়ে একটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। আমাদের চিকিৎসকরা প্রস্তুত রয়েছেন। পুরো বিষয়টির ওপর নজরদারি চলছে।”

কাঁথির শিশু চিকিৎসক উৎপল কান্তি জানা বলেন, “বেশ কিছু শিশুর শরীরের নমুনা ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করানো হয়েছে। তাতে কিছু নমুনায় স্ক্রাব টাইফাস জ্বরের উপসর্গ পাচ্ছি । আবার বহু শিশু জ্বর, সর্দি, কাশি, নিয়ে আসছে। আবহাওয়া পরিবর্তন এর ফলে নিউমোনিয়ার উপসর্গ দেখা দিচ্ছে বহু শিশুর মধ্যে। এই পরিস্থিতি তে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া উচিত অবশ্যই।”

আরও পড়ুন : ‘বহু বাচ্চার মধ্যে করোনার উপসর্গ, অথচ কোভিড টেস্ট হয়নি’, পুরুলিয়া হাসপাতাল ঘুরে বিস্ফোরক শুভেন্দু