Dilip Ghosh: ‘আমি বলিনি ডিসেম্বরে সরকার পড়বে’, বোধনের দুপুরে ভিন্ন সুর দিলীপ ঘোষের গলায়

Dilip Ghosh: শুধু বীরভূম নয়, মেদিনীপুরের দাঁতনেও এক অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষের গলায় শোনা গিয়েছিল, 'ডিসেম্বরের মধ্যে বিধানসভা ভোটের' কথা।

Dilip Ghosh: 'আমি বলিনি ডিসেম্বরে সরকার পড়বে', বোধনের দুপুরে ভিন্ন সুর দিলীপ ঘোষের গলায়
দিলীপ ঘোষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 01, 2022 | 7:22 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: ষষ্ঠীতে পূর্ব মেদিনীপুরে এক পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে অন্য সুর শোনা গেল বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায়। শনিবার পটাশপুরের লছুবাড় গ্রামে মহান্তি পরিবারের শতাব্দী প্রাচীন পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ডিসেম্বরে সরকার ফেলে দেব, আমি তো কখনও বলিনি।’ এর আগে বিজেপির একাধিক নেতার মুখেই এ রাজ্যের সরকার পড়ে যাওয়ার ‘ভবিষ্যৎবাণী’ শোনা গিয়েছিল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলরা গ্রেফতার হওয়ার পরই এই বক্তব্য নিয়ে সুর চড়ায় বিজেপি। দিলীপ ঘোষও গত মাসে রামপুরহাটে এক কর্মসূচিতে গিয়ে এমনই ইঙ্গিতবাহী কথা বলেছিলেন। তবে দশপ্রহরণধারিনীর বোধনের দিন অন্য সুর দিলীপের মুখে।

এদিন সাংবাদিকরা দিলীপ ঘোষের কাছে প্রশ্ন করেছিলেন, বঙ্গ বিজেপির অনেকে বলছেন ডিসেম্বরে সরকার পড়ে যাবে, এর সমীকরণটা কী? উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি বলিনি ডিসেম্বরে পড়বে।” এদিকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির যে নবান্ন অভিযান ছিল, তার সমর্থনে সেপ্টেম্বরের শুরুতে এক পদযাত্রা করেন দিলীপ ঘোষ। বীরভূমের রামপুরহাট শহরে সেই পদযাত্রায় দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।

সেই পদযাত্রার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “আমাদের নেতারা বলেছেন ডিসেম্বরে নাকি সরকার ভেঙে যাবে। আমি জানি না। কিন্তু যদি রোজ কয়েকজন মন্ত্রীর বাড়িতে অভিযান চলে, মন্ত্রী গায়েব হয়ে যান সরকার কে চালাবে? নেতারা যদি পালিয়ে যান, বিধায়করা যদি বাংলা ছেড়ে পালিয়ে যান বিধানসভাটা চলবে কী করে? স্বাভাবিক সরকার তো চালানোর সম্ভাবনা নেই। সেদিকেই যাচ্ছে পশ্চিমবাংলা।”

শুধু বীরভূম নয়, মেদিনীপুরের দাঁতনেও এক অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষের গলায় শোনা গিয়েছিল, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে বিধানসভা ভোটের’ কথা। তিনি বলেছিলেন, “সরকারের কোনও ভরসা নেই। সে পদ্ম পাতায় জলের মতো। এই আছে এই নেই।” বিজেপি সাংসদের এমন কথা নিয়ে জোর চর্চাও শুরু হয়। কিন্তু এদিন দিলীপ ঘোষের মুখে শোনা গেল অন্য কথা।