Suvendu Adhikari: সাগরদিঘিতে হিন্দু কার্ড খেলেছিল, ব্যুমেরাং হয়েছে : শুভেন্দু

Purba Medinipur: কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরেও পালিত হচ্ছে রামনবমী।

Suvendu Adhikari: সাগরদিঘিতে হিন্দু কার্ড খেলেছিল, ব্যুমেরাং হয়েছে : শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 30, 2023 | 6:40 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: সাগরদিঘিতে (Sagardighi) তৃণমূলের জেতা আসন খোয়ানো নিয়ে ফের সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (LOP Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের মন্তব্য, সাগরদিঘিতে হিন্দু কার্ড খেলেছিল তৃণমূল। ব্যুমেরাং হয়ে গিয়েছে। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরেও পালিত হচ্ছে রামনবমী। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রামনবমী উপলক্ষে নন্দীগ্রাম বাজার থেকে জানকীনাথ মন্দির পর্যন্ত পদযাত্রায় অংশ নেন। সেখানেই শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হন শুভেন্দু।

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “কোনও ভারতপ্রেমী রাষ্ট্রবাদী মানুষ কেউ অশান্তি চান না। এ রাজ্যের শাসকদল রাজনীতি চায়। তাদের ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য, তুষ্টিকরণের জন্য এসব করে। এরা চাকরি দিতে পারে না, শিক্ষা দিতে পারে না, অর্থনৈতিক উন্নয়ন দিতে পারে না, পারে শুধু বিভাজনের রাজনীতি করতে। এই বিভাজনের রাজনীতি আজ ব্যুমেরাং হয়েছে। সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ককে নিজের হাতের মুঠোয় ভেবে সাগরদিঘিতে হিন্দু কার্ড খেলেছিলে। ব্যুমেরাং হয়েছে।”

মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বিধায়ক সুব্রত সাহার মৃত্যুর পর সম্প্রতি উপনির্বাচন হয় এই বিধানসভা কেন্দ্রে। সেখানে জয়ী হন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। কংগ্রেসের এই জয়কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনৈতিক জোটের জয় বলেন। এই জোটে বামের পাশাপাশি বিজেপিরও সমর্থন রয়েছে বলে দাবি করে তৃণমূল।

শাসকদলের বক্তব্য, “গোটা জেলাজুড়ে একটা চক্রান্ত চলছে। বিশেষ করে মাইনোরিটিদের ভুল বোঝানো হচ্ছে।” একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস একটা আসন হারিয়েছে, তবে তৃণমূল কংগ্রেস এই তিন একত্রিত শক্তির সঙ্গে লড়াই করার জন্য যথেষ্ট। একুশে আমরা করেছি। চিন্তার কিছু নেই। আবারও করব। আগামিদিনে আমরা সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপির রাজনৈতিক নাটক খতম করব। চ্যালেঞ্জ আমাদের। অপপ্রচার, কুৎসার নাটক খতম করবই। বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসকে ছুঁতে পারবে না।” যদিও সাগরদিঘির ফলাফল নিয়ে প্রথম থেকেই বিরোধী শিবিরের দাবি ছিল, সংখ্যালঘু ভোটকে তৃণমূলের নিজেদের কুক্ষিগত ভেবে বসেছিল। তাই হারতে হয়েছে জেতা আসন।