Crime: দশমীর সন্ধ্যায় বাড়ির ভিতর গোপনে চলছিল সেই কাজ, একটা আওয়াজেই পর্দা ফাঁস…
Purba Medinipur: ফাঁকা বাড়িতে তালা ভেঙে, গ্রিল ভেঙে ভিতরে ঢোকে তারা। এদিকে বাড়িরই ছোট ছেলে সে সময় আবার বাড়ির পিছনের একটি পুকুরে এসেছিল হাত মুখ ধুতে।
পূর্ব মেদিনীপুর: বিজয়া দশমীর সন্ধ্যায় বাড়ির লোকজন বাইরে। মণ্ডপে মণ্ডপে মায়ের বিদায়ের প্রস্তুতি। সেখানেই সকলের মন। সেই সুযোগকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিল একদল যুবক। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল হলদিয়ার ভবানীপুর থানা এলাকায়। চুরি করতে এসে আটক হল চোর। বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। অভিযোগ, এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে তাদের ঘিরে ধরেও চেঁচামেচি করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকার নিরাপত্তা জোরদারের দাবি করেন তাঁরা।
বুধবার বিজয়া দশমীর সন্ধ্যায় মহিলারা যখন সিঁদুর খেলায় ব্যস্ত, অভিযোগ, ঠিক সেই সময় চুরি করতে এসে হাতে নাতে ধরা পড়ল চোর। ভবানীপুর থানার অন্তর্গত দেভোগের কিসমত শিবরামনগর গ্ৰামের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সন্ধ্যায় পাড়ারই একটি পুজোয় মহিলারা সিঁদুর খেলছিলেন। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই কিসমত শিবরামনগর গ্ৰামের একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে চার পাঁচজন।
ফাঁকা বাড়িতে তালা ভেঙে, গ্রিল ভেঙে ভিতরে ঢোকে তারা। এদিকে বাড়িরই ছোট ছেলে সে সময় আবার বাড়ির পিছনের একটি পুকুরে এসেছিল হাত মুখ ধুতে। হঠাৎ তাঁর কানে যায় বাড়ির ভিতর কী যেন ভাঙার শব্দ। চেঁচিয়ে বাড়িতে ঢুকতেই তাঁকে চেপে ধরে চোরের দল বলে অভিযোগ। ওই যুবককে মারার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। হাতে আঘাত লাগে।
ওই যুবকের চিৎকার শুনেই পাশের বাড়ির লোকজন ছুটে আসেন। অভিযুক্তদের একজনকে ধরে ফেললেও বাকিরা পালিয়ে যায়। এরপরই আটক যুবককে এলাকার একটি বাঁশের খুঁটিতে বেঁধে থানায় খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় ভবানীপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এদিকে পুলিশকে দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, গ্ৰামীণ এলাকায় একসময় পুলিশি টহল দেওয়া হলেও বর্তমানে তা বন্ধ। পুজোর সময় সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে চোর ও তার দলবল।
অভিযোগকারী পরিবারের এক সদস্য নমিতা মণ্ডল বলেন, “জোরে আওয়াজ শুনে আমার ভাই ছুটে যায়। গিয়ে শোনে কাচ ভাঙার শব্দ। বাধা দিতে যাওয়ায় ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তখন ওকে বলছে মেরে ফেলবে। এমনকী স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে ভাইয়ের হাতেও আঘাত করে। যদিও চোর পালাতে পারেনি। চোরটাকে বেধে রেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।”