Digha Death: হইহই করে সমুদ্রস্নানে নেমেছিলেন, এমন বিপদ ওৎ পেতে কে জানত… এখনও বিশ্বাসই হচ্ছে না পরিবারের
Digha: কিন্তু এই মৃত্যুর কারণ কি কাঁকড়া খাওয়াই নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর তা এখনও স্পষ্ট নয়।
পূর্ব মেদিনীপুর: দিঘায় বেড়াতে গেলে কম বেশি সকলেই ‘সি ফুড’ চেখে দেখেন। নানারকমের মাছের পদ, মশলা মাখানো কাঁকড়ায় কামড় বসানো ‘মাস্ট’। কিন্তু সেই খাবারই কারও কারও জন্য প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। উত্তর ২৪ পরগনার সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের (৬১) অস্বাভাবিক মৃত্যুতেও তেমনই সন্দেহ করা হচ্ছে। সোদপুরের বাসিন্দা সুদীপবাবু পরিবার নিয়ে দিঘায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি কাঁকড়া খান। এরপরই সমুদ্রস্নানে নামেন। কিন্তু অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে দিঘা মোহানা কোস্টাল থানার পুলিশ।
সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুর থানা এলাকার শুকচর ১৩৯ নরসিংহ দত্ত ঘাট রোডে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবারই পরিবার নিয়ে দিঘায় বেড়াতে যান তিনি। রবিবার গিয়েছিলেন তাজপুর। সকাল থেকেই ঘোরাঘুরির পর দুপুরে স্থানীয় একটি হোটেলে খাওয়াদাওয়া করেন। এরপরই সমুদ্রে স্নান করতে নামেন। এরপরই শরীরে একটা অস্বস্তি হতে থাকে তাঁর। বাড়ির লোকজনকে তা জানালে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় দিঘা হাসপাতালে। কিন্তু বিপদ টলানো যায়নি। চিকিৎসকরা জানান, মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির।
অনেকেরই সামুদ্রিক মাছে অ্যালার্জি থাকে। কাঁকড়াও সহ্য হয় না অনেকের। এর আগে গত ২১ নভেম্বরে দিঘায় বেড়াতে গিয়ে সামুদ্রিক কাঁকড়া খেয়ে মারা যান বেহালার সৌম্যদীপ শিকদার। তার ঠিক মাসখানেক পরের ঘটনা। বীরভূমের এক তরুণী মারা যায় সামুদ্রিক কাঁকড়া খেয়ে। পুলিশকে তাঁর পরিবার জানিয়েছে, তাজপুরের যে মুখোপাধ্যায় বাড়ির লোকজন দুপুরের খাওয়াদাওয়া করেছিলেন, সেখানে কাঁকড়া খান সুদীপবাবু।
কিন্তু এই মৃত্যুর কারণ কি কাঁকড়া খাওয়াই নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই দিঘা মোহানা কোস্টাল থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। বেড়াতে গিয়ে এমন ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। সকলে মিলে হইহই করে সমুদ্রস্নানে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফেরার সময় একটা মানুষ নেই। ভাবলেই গলার কাছে কান্না দলা পাকিয়ে উঠছে পরিবারের।