Kanthi Municipal: ঘাসফুল শিবিরে চলছে তীব্র টানাপোড়েন, চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে কে?
Kanthi: একাধিকবার পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলে রাজনৈতিক সভা-সমিতি কাঁপিয়েছে তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব।
কাঁথি: কথায় বলে ‘পুরনো চাল ভাতে বাড়ে’। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি পুরসভার হাল অনেকটা এই রকমের। শিশির অধিকারীর পরবর্তী চেয়ারম্যানকে হবেন তা নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে জল্পনা। দলীয় সূত্রের খবর, যেহেতু কাঁথিতে অধিকারীরা দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করেন সেই কারণে খোদ ‘নেত্রীর’ চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে এই পুরসভা।
জানা গিয়েছে, প্রথম পছন্দ সুপ্রকাশ গিরি হলেও রাজ্য সভাপতির ঘোর আপত্তিতে খানিক কপালে চিন্তার ভাঁজ খোদ নেত্রীর। শেষমেশ মৎস্য মন্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে পুরমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
একাধিকবার পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলে রাজনৈতিক সভা-সমিতি কাঁপিয়েছে তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব। ফলে পরিবার তন্ত্রকে যে আর প্রাধান্য দেওয়া হবে না তা বোঝা যাচ্ছে। পাশাপাশি আরও জানা যাচ্ছে, দলের রাজ্য নেতৃত্বই দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে। আর এতেই উঠে এসেছে রিনা দাস, তনুশ্রী চক্রবর্তী, লিনা দাস মহাপাত্র,শঙ্কর লাল দাসের নাম। অন্যদিকে, ভাইস চেয়ারম্যানের নাম উঠে আসছে মন্ত্রীপুত্র সুপ্রকাশ গিরির।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে অধিকারীদের বিরুদ্ধে প্রধান লড়াইয়ের মুখ কে হবে তাই নিয়ে চলছে ভিতরে দড়ি টানা-টানা। খানিক এগিয়ে ‘গিরি বাবুরা’, আর তাতে বাকিদের চিন্তা। তাই দল কাঁথি সাংগঠনিক জেলা নিয়ে বরংবার আলোচনা করতে হচ্ছে। কাঁথির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন তরুণ জানা ও বিধায়ক উত্তম বারিক এছাড়া আরও কিছু সংযোজন এবং বিয়োজন হতে পারে বলে বলেও জানা যাচ্ছে।
বস্তুত, পূর্ব মেদিনীপুরে কান পাতলে এখন অন্য কথা শোনা যায়। রাজনৈতিক মহল বলছে, দিলীপ ঘোষের এগরা তাও মান রেখেছে। কিন্তু কাঁথি, তমলুকে পদ্ম পাঁপড়িই মেলতে পারল না। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি, এগরা ও তমলুক পুরসভা নিজেদের দখলে রেখেছে তৃণমূল। গত বিধানসভা ভোটের নিরিখে তিন পুরসভাতেই এগিয়ে থেকে লড়াইয়ে নেমেছিল বিজেপি। কিন্তু পুরভোটের ফলাফলে তৃণমূলের ধারে কাছে নেই পদ্মশিবির। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কাঁথি, তমলুকে তৃণমূলের জয়জয়কার। কারণ, এতদিন এই এলাকাগুলিকে বলা হত অধিকারীদের গড়। বিশেষ করে কাঁথি। এখান থেকেই শিশির অধিকারী, শুভেন্দু অধিকারীদের রাজনৈতিক জীবনের শুরু। দাপটের সঙ্গে এতগুলো বছর ধরে রাজনীতিও করছেন তাঁরা। কিন্তু আচমকাই এই কাঁথিতে এদিন নতুন অধ্যায় লিখল গিরিরা।