Calcutta High Court: চারতলা দেখিয়ে পাঁচতলা বানানো! ভেঙে-গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট
Purulia: এই রাধাকৃষ্ণ অ্যাপার্টমেন্টের মালিক পবন শর্মা পার্কিং দেয়নি বলে অভিযোগ জানান এক বাসিন্দা। তিনি বলেন, "২০১৬ সালে ফ্ল্যাট কিনলেও এখনো প্রযন্ত মিউটেসেন প্রযন্ত হয়নি। এই ফ্ল্যাটে কোনও ফায়ার সেফটির ব্যবস্থা নেই। একটি মাত্র সিঁড়ি রয়েছে।"

পুরুলিয়া: কলকাতায় হেলে পড়েছে একের পর এক বহুতন। প্রোমোটারদের বিরুদ্ধে উঠছে গুচ্ছ-গুচ্ছ অভিযোগ। ট্যাংরায় বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রোমোটার। কিন্তু শুধু কলকাতা নয়, বেআইনি ফ্ল্যাট তৈরির অভিযোগ উঠে আসছে পুরুলিয়া থেকেও। আর এবার বেআইনিভাবে তৈরি ফ্ল্যাটের পাঁচতলা ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই নির্দেশ দেন।
পুরুলিয়া শহরের ১২নম্বর ওয়ার্ডের চণ্ডিকর লেন। সেখানে ২০১৬ সালে চারতলা নকশা দিয়ে পৌরসভা থেকে ফ্ল্যাট তৈরির অনুমোদন করিয়ে নেওয়া হয়। বাস্তবে ১৪ ফুটের রাস্তা থাকলেও নকশায় ১৮ ফুটের রাস্তা দেখানো হয় বলে অভিযোগ। এরপর ২০১৮ সালে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে বিক্রি শুরু হয়। নাম দেওয়া হয় ‘রাধাকৃষ্ণ অ্যাপার্টমেন্টে’।
তবে দেখা যায় চারতলার উপরেও আরও একতলা বাড়ানো হয়। অর্থাৎ পাঁচতলা বানানো হয় ফ্ল্যাটটি। সেই পাঁচতলায় মোট ১০টি ফ্ল্যাট বানানো হয়। বর্তমানে সব কটিতেই পরিবার রয়েছে। এরপর পৌরসভায় বেআইনি ভাবে নির্মাণ করার অভিযোগ জানায় অ্যাপার্টমেন্টের অন্য বাসিন্দারা। অভিযোগ, তবে প্রথমে পুরুলিয়া পৌরসভা লিখিত অভিযোগ পেলেও কোনও কর্ণপাত করেনি।
এরপর ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা আদালতের দারস্ত হন। প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টের অমৃতা সিংহার বেঞ্চে মামলা করা হয়। তারপর সেই মামলা ডিভিশন বেঞ্চে যায়। সেখানেই বিচারপতিরা পাঁচতলাকে বেআইনি বলেন।অবিলম্বে সেটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন।
পাঁচতলার বাসিন্দাদের বক্তব্য, “আমরা ব্যাঙ্কে যাবতীয় কাগজ দিয়েছি। তারপর লোন নিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছি। ব্যাঙ্কের উকিল এসে গোটা বিষয়টি দেখে যাওয়ার পরেই লোন দিয়েছে। যদি বেআইনি হত, তাহলে ব্যাঙ্ক কীভাবে লোন দিল? আর যদি বেআইনি ভাবেই তৈরি করা হয় তাহলে কেন তৈরি করতে দেওয়া হল?” ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
এই রাধাকৃষ্ণ অ্যাপার্টমেন্টের মালিক পবন শর্মা পার্কিং দেয়নি বলে অভিযোগ জানান এক বাসিন্দা। তিনি বলেন, “২০১৬ সালে ফ্ল্যাট কিনলেও এখনো প্রযন্ত মিউটেসেন প্রযন্ত হয়নি। এই ফ্ল্যাটে কোনও ফায়ার সেফটির ব্যবস্থা নেই। একটি মাত্র সিঁড়ি রয়েছে।”
যদিও, এই অ্যাপার্টমেন্টের মালিক পবন শর্মা ফোনে বলেন, “আমি এখনো রায়ের কপি পাইনি। রায়ের কপি হাতে পেলে বলতে পারবো কী হয়েছে।” অপরদিকে, এ প্রসঙ্গে পুরুলিয়া পৌর প্রধানকে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি। পৌরসভার উপ-পৌরপ্রধান ময়ূরী নন্দী বলেন, “রায়ের কপি হাতে পেলে সম্পূর্ণ বিষয়টি বলতে পারব কী হয়েছে।”





