Purulia: ‘রেলের উন্নয়ন আটকে রয়েছে রাজ্য সরকারের চক্রান্তের জন্য’, বিস্ফোরক বিজেপি সাংসদ
Purulia: "বিজেপি কিচ্ছু করতে পারেনি, রাজনীতি ছাড়া। রেল নিয়ে যা হচ্ছে তার প্রায় সবই রেলমন্ত্রী থাকাকালীন করে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।"
পুরুলিয়া: রেলের অনুষ্ঠানে এসে রাজ্য সরকার তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন পুরুলিয়ার সাংসদ, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। পুরুলিয়ায় রেলের উন্নয়ন রাজ্য সরকারের চক্রান্তের জন্য আটকে রয়েছে বলে মঞ্চ থেকেই দাবি করেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুরুলিয়া স্টেশনে নব নির্মিত ফুট ওভার ব্রিজ এবং একটি লিফটের উদ্বোধন করেন সাংসদ। উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের ডিআরএম মণীশ কুমার-সহ উচ্চ পদস্থ রেলের আধিকারিকরা। এদিন তাঁদের সামনেই সাংসদ বলেন, “রেল বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে রাজ্য সরকার। উদাহরণ দিয়ে সাংসদ বলেন, পুরুলিয়া শহরের গোশালায় একটি রোড ওভার ব্রিজ দীর্ঘ দিন আগেই রেলের তরফে মঞ্জুর করে দেওয়া হয়েছে। এখানে লেভেল ক্রসিং-য়ে তীব্র যানজট এক মারাত্মক সমস্যা।”
এনিয়ে রেল রাজ্য সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রের জন্য বার বার চিঠি করেছে বলে জানান তিনি। উত্তর কিছু পাওয়া যায়নি। একই অবস্থা সুইসাতেও। সেখানেও একই ভাবে আটকে রয়েছে রোড ওভার ব্রিজের কাজ। এদিন ডিআরএম নিজেও বলেন, গোশালার রোড ওভারব্রিজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রের অপেক্ষা করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। সাংসদ এদিন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের কথা উল্লেখ করেও বলেন, “রাজ্যে নতুন ট্রেন দিতে চিন্তা করতে হচ্ছে মন্ত্রককে। কারণ রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন না উন্নয়ন।” সংসদের এই কথা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয় জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে। পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, “পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে। তাই এখন যা খুশি তাই বলে হওয়া গরম করতে চাইছেন বিজেপি সাংসদ।” বাঁকুড়া সহ বিভিন্ন জায়গায় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে একের পর এক রোড ওভার ব্রিজ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “বিজেপি কিচ্ছু করতে পারেনি, রাজনীতি ছাড়া। রেল নিয়ে যা হচ্ছে তার প্রায় সবই রেলমন্ত্রী থাকাকালীন করে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি সেই গুলিকেই নিজের বলে চালাবার চেষ্টা করছে। নিজেরা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়ে এর দায় তৃণমূলের উপর চাপাবার চেষ্টা করছেন বিজেপির সাংসদরা।”