Witch: এক মৃত্যুর পরই গ্রামের লোকেরা বলেছিল ‘ডাইনি’, তিন মাস পরও ‘ছাদ’ ফিরে পায়নি পরিবার
Witch: গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁরা আতঙ্কে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে আত্মীয়দের বাড়িতে গিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।
পুরুলিয়া: ডাইনি অপবাদে মাস তিনেক ধরে ঘরছাড়া এক আদিবাসী পরিবার (tribal familiy)। এই ঘটনায় পুলিশের হস্তক্ষেপের পরেও বাড়ি ফেরার সাহস পাচ্ছেন না তাঁরা। এবার বাড়ি ফেরার জন্য জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হল ওই আদিবাসী পরিবার। মঙ্গলবার পুরুলিয়া (Purulia) শহরের জেলা শাসকের অফিস চত্বরে এসে পরিবারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। অভিযোগ, পুরুলিয়ার বান্দোয়ান এলাকার মা কপালি গ্রামের বাসিন্দা ওই পরিবারকে ওই গ্রামেরই আদিবাসী জনজাতিভুক্ত কিছু মানুষ ডাইনি আখ্যা দেয়। তারপর থেকে তাঁরা কার্যত বাধ্য হন ঘর ছাড়তে।
ওই পরিবারের কর্তা গঙ্গা নারায়ণ বাস্কে জানিয়েছেন, গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁরা আতঙ্কে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে আত্মীয়দের বাড়িতে গিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। ইতিমধ্যেই তাদের বাড়ির গৃহপালিত গবাদি পশু থেকে শুরু করে চাষের কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম, সবই লুঠপাট হয়ে গিয়েছে।
ওই ব্যক্তির আরও অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা বার বার ফোন করে হুমকি দিচ্ছেন তাঁদের, যাতে তাঁরা এই সব অভিযোগ নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ না হন। ইতিমধ্যেই ওই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি। সংস্থার জেলা সম্পাদক মধুসূদন মাহাতো বলেন, ‘ওই গ্রামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার পর অত্যাচারিত পরিবারের এক বৃদ্ধাকে ডাইনি বলে আখ্যা দেওয়া হয়। এক গুনিন এই আখ্যা দেন। এরপরই গ্রামের কয়েকজন মোড়ল ওই পরিবারকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে একটি সভার আয়োজন করে। প্রায় এক লক্ষ টাকা জরিমানা ঘোষণা করা হয়। জমি ও ঘরের জিনিসপত্র বন্ধক দিয়ে ৫০ হাজার টাকা গ্রামের মোড়লদের হাতে তুলে দেন ওই দম্পতি।’ বাকি টাকা না দিতে পারার জন্য ওই পরিবারকে গ্রাম ছাড়তে বাধ্য করা হয়।
এরপর ওই পরিবার যুক্তিবাদী সমিতির দ্বারস্থ হয়। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা অবশ্য বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন। পুলিশের তরফে পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে।