Purulia Municipality: আবাস যোজনার তালিকায় তৃণমূল পুরপ্রধানের মায়ের নাম, মুখ খুললেন নেতা নিজেই

Awas Yojona: আবাস যোজনায় অনুমোদনের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর। এখনও অবধি ৯ লক্ষ ২৭ হাজার উপভোক্তার নামে অনুমোদন মিলেছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।

Purulia Municipality:  আবাস যোজনার তালিকায় তৃণমূল পুরপ্রধানের মায়ের নাম, মুখ খুললেন নেতা নিজেই
আবাস যোজনায় নবেন্দু মাহালির মায়ের নাম থাকার অভিযোগ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 31, 2022 | 4:46 PM

পুরুলিয়া: আবাস যোজনায় (Awas Yojona) বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। এবার অভিযোগ, তালিকায় নাম রয়েছে পুরুলিয়া পুরসভার পুরপ্রধানের মায়ের। বিজেপির তরফে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। জেলা বিজেপির দাবি, গাড়ি, বাড়ি থাকার পরও আবাস যোজনায় ঘর পাওয়া যাচ্ছে। তারই প্রমাণ আবাস যোজনার তালিকায় পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালির মায়ের নাম। যদিও পাল্টা পুরপ্রধান দাবি করেন, এটা নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। তাঁর কথায়, একটি প্রস্তাবিত তালিকায় তাঁর মায়ের নাম ছিল। তাও চার বছর আগের ঘটনা। সে সময় তিনি পুরপ্রধানও ছিলেন না বলে দাবি করেন। চূড়ান্ত তালিকা থেকে তাঁর মায়ের নাম বাদ দিতেও বলেন বলে দাবি করেছেন নবেন্দু মাহালি। তবে এ নিয়ে চর্চা চলছেই।

পুরুলিয়ার জেলা বিজেপি সভাপতি বিবেক রাঙ্গা বলেন, “চারদিকে আমরা দেখছি আবাস যোজনা নিয়ে মানুষ ক্ষুব্ধ। সর্বত্র প্রতিবাদ হচ্ছে। এরইমধ্যে এখানকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতারা গাড়ি, বাড়ি সবকিছু থাকা সত্ত্বেও গরিব মানুষকে বঞ্চিত করে নিজের পরিবারের লোকের নামে আবাস যোজনার বাড়ি নিয়েছে। পুরুলিয়া পুরসভার পুরপ্রধানের মায়ের নাম রয়েছে তালিকায়। আমি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে খবর পাই। আমার কাছে একটি তালিকাও আছে। ওনার ২টো পাকা বাড়ি, স্করপিও গাড়ি, বাবা রেলে কাজ করতেন, স্ত্রী রাজ্য সরকারের কর্মী। অথচ তাঁর মায়ের নামে আবাস যোজনার বাড়ি। কারণ স্পষ্ট, প্রভাবশালী নেতা।”

নবেন্দু মাহালি বলেন, “বর্তমানে আমি পুরপ্রধান। ২০২০-২১ সালে আমি পুরপ্রধান ছিলাম না। আমার মা নামও প্রত্যাহার করে নেন। এখন পঞ্চম দফার তালিকার কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। তাই নাম থাকতে পারে। কিন্তু মা চিঠি দিয়ে পুরসভাকে জানিয়ে দিয়েছেন। এবার যে তালিকা বেরোবে সেখানে মায়ের নাম থাকবে না। বিজেপি রাজনৈতিক উদ্দেশে এটা করছে।”

আবাস যোজনায় অনুমোদনের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর। এখনও অবধি ৯ লক্ষ ২৭ হাজার উপভোক্তার নামে অনুমোদন মিলেছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। কেন্দ্র আগেই জানিয়েছিল, ৩১ তারিখের মধ্যে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮ জনের অনুমোদন দিতে হবে। পোর্টালে নাম নথিভুক্ত না হলে বাকি কোটার বাড়ি অন্য রাজ্যকে দেওয়া হবে।