Purulia TMC: ‘এখানে তৃণমূল ছাড়া অন্য কিছু চলবে না’, আঙুল উঁচিয়ে প্রকাশ্যে হুমকি, ভাইরাল যুব নেতা!
TMC SFI Clash: এই ভিডিয়োকে কেন্দ্র করেই শোরগোল। একজন কলেজ পড়ুয়া, তিনি যে সংগঠনের সমর্থক বা কর্মী হয়ে থাকুন না কেন, তিনি কেন এইভাবে প্রকাশ্যে হুমকি দেবেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
পুরুলিয়া: ‘এখানে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ছাড়া অন্য কোনও ছাত্র সংগঠন করা চলবে না’, প্রকাশ্যে আঙুল উঁচিয়ে হুমকি দিচ্ছেন এক ছাত্র নেতা (TMC Leader)। মাত্র মিনিটদুয়েকের ভিডিয়ো। আর সেই ভিডিয়োতেই কার্যত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কী করে একজন ছাত্রনেতা প্রকাশ্য রাস্তায় এভাবে হুমকি দিতে পারেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর কলেজের।
ঠিক কী দেখা গিয়েছে ওই ভিডিয়োতে? দেখা গিয়েছে, হলুদ পাঞ্জাবি পরিহিত অরিজিত্ ঘটক নামে এক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা কলেজের মূল প্রবেশদ্বারের সামনে এসএফআই সমর্থক বেশ কিছু পড়ুয়াদের উদ্দেশে হুমকি দিচ্ছেন।
ভিডিয়োতে শোনা যাচ্ছে, অরিজিত্ ঘটক নামের ওই তৃণমূল নেতা বলছেন, “এখানে তৃণমূল ছাড়া আর কিছু করা চলবে না। অন্য কোনও রাজনৈতিক দল এখানে করা যাবে না। অন্য কোনও দল এখানে করতে দেব না। সিপিএম বাংলায় জিরো হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলই একমাত্র দল।”
আর এই ভিডিয়োকে কেন্দ্র করেই শোরগোল। একজন কলেজ পড়ুয়া, তিনি যে সংগঠনের সমর্থক বা কর্মী হয়ে থাকুন না কেন, তিনি কেন এইভাবে প্রকাশ্যে হুমকি দেবেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এসএফআই কর্মী-সমর্থক তথা পড়ুয়াদের অভিযোগ, তাঁরা কলেজে আসা পড়ুয়াদের দলীয় বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করছিলেন। পাশাপাশি, তৃণমূলের তরফে যে ‘অপপ্রচার’ করা হচ্ছে, তারই বিরোধিতায় পথে নেমেছিলেন ওই পড়ুয়ারা। তখনই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ওই নেতা এসে হুমকি দিতে শুরু করেন বলে অভিযোগ।
যদিও গোটা ঘটনা অস্বীকার করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি কিরিটি আচার্য বলেন, “এই ধরনের কোনও ঘটনাকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ প্রশ্রয় দেয় না। কলেজ নির্বাচনে যে কোনও ছাত্র রাজনৈতিক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তাদের আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।” তবে এই ঘটনায় জেলা তৃণমূল সভাপতি বা কোনও উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁদের পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, জেলা এসএফআইয়ের সম্পাদক সুব্রত মাহাত বলেন, “তৃণমূল ছাত্র পরিষদ দুর্নীতিগ্রস্ত। তারা আমাদের ভয় পেয়েছে। আমরা কাউন্সিল চাই না। আমাদের দাবি কলেজের ইউনিয়ন হোক। আমরা দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদের স্বার্থে লড়াই করে আসছি।”
যদিও কলেজের অধ্যক্ষ ফাল্গুনী মুখোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন এইধরনের কোনও ঘটনা কলেজ চত্বরে ঘটেনি। যদি কলেজে বা ক্যাম্পাসে এমন ঘটনা ঘটে থাকে তবে যে বা যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তবে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ভাঙড়ে ডায়মন্ডহারবার যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের (Trinamool Youth Congress) সভাপতি অভীক মজুমদারের এমনই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, দলের সভায় অভীক বলছেন, “প্রশাসন আমাদের, বাংলার পুলিশ আমাদের। কাশিপুর থানার আইসি আমাদের,কেএলসি থানার আইসি আমাদের। যারা পেছনে পেছনে আইএসএফকে মদত দেবে, আইএসএফের হয়ে কাজ করবে তাদের খুঁজে খুঁজে বের করা হবে। তাদের চিহ্নিত করা হবে। বাংলায় একজনই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।” তৃণমূলের নেতার এ হেন মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় ওঠে রাজনৈতিক মহলে। দলের নেতা কী করে প্রকাশ্যে এ হেন মন্তব্য করতে পারেন তা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: Shankar Adhya: ‘আমি বালুর নামে কিছু বলিনি’, সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষমা চাইলেন শঙ্কর