Crime News: স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে পরিচারিকার সঙ্গে শিউরে ওঠার মত ঘটনা… হতবাক পাড়ার লোকেরাও

Purulia News: সন্দেহের তির বাড়িতে কাজ করা দুই কাঠমিস্ত্রির দিকে। কারণ, দাস কর্মকার বাড়িতে এদিনও কাজে এসেছিলেন তাঁরা। তাঁদের পাড়ার লোকেরা ছুটে বেরিয়ে যেতেও দেখেন।

Crime News: স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে পরিচারিকার সঙ্গে শিউরে ওঠার মত ঘটনা... হতবাক পাড়ার লোকেরাও
পুরুলিয়ায় দেহ উদ্ধার। ঘটনাস্থলে পুলিশ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 28, 2022 | 8:42 PM

পুরুলিয়া: এক স্বর্ণব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হল পরিচারিকার দেহ। একইসঙ্গে বাড়ির কর্ত্রীকেও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পুরুলিয়া শহরের দর্জিপাড়ায় রবিবার এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, দুই ব্যক্তিকে তাঁরা ওই বাড়ি থেকে ছুটে বেরিয়ে যেতে দেখেন। এরপরই এই ঘটনা সামনে আসে। পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

জানা গিয়েছে, মৃতার নাম পার্বতী বাদ্যকার (৫৫)। তাঁর বাড়ি স্থানীয় পোকাবাঁধ পাড়ায়। দর্জিপাড়ার স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রদীপ দাস কর্মকারের বাড়িতে কাজ করতেন তিনি। এদিনও কাজে গিয়েছিলেন। এরপরই এই ঘটনা। অন্যদিকে প্রদীপ দাস কর্মকারের স্ত্রী নন্দিতা দাস কর্মকারও আক্রান্ত হন। অভিযোগ, তাঁকেও ধারাল কিছু দিয়ে আক্রমণ করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের ভিতরই পড়ে ছিলেন তিনি। এদিন যখন ঘটনাটি ঘটে বাড়িতে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী বা তাঁদের ছেলে কেউই ছিলেন না।

সন্দেহের তির বাড়িতে কাজ করা দুই কাঠমিস্ত্রির দিকে। কারণ, দাস কর্মকার বাড়িতে এদিনও কাজে এসেছিলেন তাঁরা। তাঁদের পাড়ার লোকেরা ছুটে বেরিয়ে যেতেও দেখেন। যদিও এই ঘটনার পর থেকে দু’জনেরই কোনও খোঁজ নেই। পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশের অনুমান, এটি খুনের ঘটনা। সবদিক খোলা রেখেই তদন্ত চলছে। জানা গিয়েছে, প্রদীপ দাস কর্মকারের পুরুলিয়ায় একটি সোনার দোকান রয়েছে। এদিন ঘটনার সময় সেখানেই ছিলেন তিনি। ছেলেও কাজে বাইরে গিয়েছিলেন।

এলাকার এক বাসিন্দা জানান, “আমি পাড়ায় ছিলাম না। খবর পেয়ে ছুটে এসে শুনি, পাড়ার লোকেরা বলছে দু’টো মিস্ত্রি নাকি ছুটে বেরিয়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে গেলাম। কাকিমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আমি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে দুর্গাপুর নিয়ে যেতে বলেছে। দুর্গাপুর যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিলাম। আমরা প্রথমে ভেবেছি সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়েছেন। তারপর বাড়িতে এসে শুনলাম দু’জন মিস্ত্রি দৌঁড়ে বেরিয়ে গেছে। ওনাদের বাড়ির পরিচারিকাকেও মারা হয়েছে।”