Balurghat: প্রেমে কাঁটা ‘নিচু জাত’! তাই মা-কে ‘মেরে ঝুলিয়েই’ দিল জেল-পুলিশ ছেলে

Balurghat: রবিবার দুপুরে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। শনিবার থেকে ওই জেল পুলিশের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এমন কী তাঁর মোবাইলও বন্ধ রয়েছে। এদিকে মৃত্যুর খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই বাড়ি এসেছেন মৃতার পরিবারের লোকজন।

Balurghat: প্রেমে কাঁটা 'নিচু জাত'! তাই মা-কে 'মেরে ঝুলিয়েই' দিল জেল-পুলিশ ছেলে
ব্যাপক শোরগোল এলাকায় Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 30, 2024 | 3:03 PM

বালুরঘাট: ভিন জাতের মেয়ের সঙ্গে প্রেম। এতেই ছিল মায়ের আপত্তি। সেই কারণে মাকে মেরে চম্পট দিল জেল পুলিশ ছেলে। অভিযোগ এমনটাই। শনিবার গভীর রাতে মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। যদিও সেই ঘর বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। মৃতার গলায় জড়ানো ছিল গামছা। এ দৃশ্য দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ওই মহিলাকে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করা হয়েছে। মৃতার নাম কল্পনা রানি শীল (৪৭)। কোচবিহারের কাম্যাখাগুড়ি এলাকার বাসিন্দা। তাঁরই ছেলে শোভন লাল শীল। যাঁর বিরুদ্ধে উঠছে এই গুরুতর অভিযোগ। যদিও ঘটনার পর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। 

সূত্রের খবর, ২০২১ সাল থেকে বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে কর্মরত রয়েছেন শোভন। আগে একাই জেলখানার আবাসনে থাকতেন। কয়েক মাস আগে থেকে শোভনের মা তাঁর কাছে এসে থাকতে শুরু করে। শুরুতে সব ঠিকঠাক থাকলেও পরিবারের লোকজন জানাচ্ছেন কয়েকদিনের মধ্যেই বাড়তে থাকে সমস্যা। ছেলের প্রেম নিয়ে তৈরি হয়েছিল জটিলতা। এরইমধ্যে শনিবার ঘরের দরজা ভেঙে ওই মহিলার দেহ উদ্ধার হতেই তা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। 

রবিবার দুপুরে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। শনিবার থেকে অভিযুক্তের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এমন কী তাঁর মোবাইলও বন্ধ রয়েছে। এদিকে মৃত্যুর খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই বাড়ি এসেছেন মৃতার পরিবারের লোকজন। শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন সকলেই। সবাই বলছেন, এটা আত্মহত্যার ঘটনা হতেই পারে না। ছেলেই খুন করেছে। ইতিমধ্যেই বালুরঘাট থানায় পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সুপারিন্টেন্ডেন্ট দেবাশিস মণ্ডল। অন্যদিকে এ নিয়ে বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করতে চলেছে মৃতার পরিবার। খুন না অন্য কিছু তা খতিয়ে দেখছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।

এই খবরটিও পড়ুন

মৃতার ভাইঝি ববিতা শীল বলছেন, “কয়েকদিন থেকেই পিসিকে আর ফোনে পাইনি। ছেলেটার তো এখানে একটা মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে শুনেছি। সেটা নিয়ে পিসি খুব চিন্তা ছিল। মেয়েটা নিচু জাতের ছিল। সেটা নিয়ে পিসির আপত্তি ছিল। ছেলে প্রথমে জানতো না মেয়েটা নিচু জাতের। এমনটাই শুনেছিলান। এখন কী থেকে কী হয়ে গেল বুঝতে পারছি না।”