AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Cyclone Sitrang: বইছে হালকা ঝোড়ো হাওয়া, সঙ্গে বৃষ্টি, সিত্রাং থেকে বাঁচতে জোরদার মাইকিং সুন্দরবনে

Cyclone update: চালু হয়েছে কন্ট্রোল রুম। নম্বরগুলি হল ০৩৩-২৪৪৮৮০৫১ এবং ০৩৩-২৪৪৮৮০৫২।

Cyclone Sitrang: বইছে হালকা ঝোড়ো হাওয়া, সঙ্গে বৃষ্টি, সিত্রাং থেকে বাঁচতে জোরদার মাইকিং সুন্দরবনে
সুন্দরবনের পরিস্থিতি (নিজস্ব ছবি)
| Edited By: | Updated on: Oct 24, 2022 | 7:08 AM
Share

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সিত্রাং-এর প্রভাবে ভোর রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকার গোসাবা, বাসন্তী, কুলতলিতে। সঙ্গে বইছে হালকা ঝোড়ো হাওয়া। কুলতলি ব্লকের কৈখালির নদী তিরবর্তী এলাকায় ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে এনডিআরএফ (NDRF) দল। তাঁরাও ঘূর্ণিঝড় নিয়ে মাইক প্রচার করছেন l একই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় মাইকে প্রচার করছেন সুন্দরবন এলাকার বন কর্মীরা।

সিত্রাং পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সাগর, কুলতলি, কাকদ্বীপ গোসাবা সহ বিভিন্ন এলাকায় তৈরি এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ দল। নিচু এলাকায় হাজার-হাজার বাসিন্দাদের ত্রাণ শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চালু হয়েছে কন্ট্রোল রুম। নম্বরগুলি হল ০৩৩-২৪৪৮৮০৫১ এবং ০৩৩-২৪৪৮৮০৫২।

জেলা শাসক সুমিত গুপ্ত বলেন, ‘২৪ ঘণ্টা আমাদের কন্ট্রোল রুম খোলা রয়েছে। এসডিও অফিস, বিডিও অফিসের কর্মীদের ছুটি বাতিল হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি।’ জেলা শাসকের দফতরে ঝড়ের উপর সর্বক্ষণ নজর রাখার জন্য রয়েছে বিশেষ জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা। আধিকারিকরা সব সময় ঝড়ের গতিবিধির উপর নজরদারী চালাচ্ছেন। এর পাশাপাশি জেলার যে পাঁচটি জায়গায় ক্ষতির সম্ভাবনা সব থেকে বেশি সেই জায়গাগুলিতে লাইভ মনিটারিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর তার সামনে বসে একজন আধিকারিক সর্বক্ষণ নজর রাখছেন।

এ দিকে, শনিবার রাতের মধ্যে জেলার বন্দর ও ঘাটে ফিরে এসেছে মৎস্যজীবী ট্রলারগুলি। এখনও কোনও ট্রলার সমুদ্রে আছে কি না তা খোঁজ নিয়েছে পুলিশ। বকখালির ফ্রেজারগঞ্জ ঘাঁটির উপকূল রক্ষী বাহিনী ও ড্রোনিয়ার দিয়ে ট্রলারের খোঁজ চালানো হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা বেলায় সাগর ও কাকদ্বীপে মাইকিং করছে।

রবিবার বিকেল থেকে পরিস্থিতি বিচার করে উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। তৈরি রাখা হয়েছে ফ্লাড শেল্টার ও স্কুল। অন্যদিকে, জেলার কালীপুজোর উদ্যোক্তারা চিন্তায় আছেন। ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে সব লন্ডভন্ড হয়ে যেতে পারে। পুলিশও প্যান্ডেলগুলির ওপর সর্বক্ষণ নজর রাখছেন।