‘নবাগত’ শুভেন্দু-রাজীবই বিজেপির শক্তি, মানলেন শাহ

বাংলায় দাঁড়িয়ে বিজেপির সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ডের এমন 'অনুমোদন' বুঝিয়ে দিল দলে তাঁদের গুরুত্ব কতটা।

'নবাগত' শুভেন্দু-রাজীবই বিজেপির শক্তি, মানলেন শাহ
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 18, 2021 | 8:03 PM

নামখানা: আগামী বিধানসভা ভোটে বিজেপির পাখির চোখ পরিবর্তনের পরিবর্তন। আর সে লক্ষ্যে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে ‘পরিবর্তন যাত্রা’। বৃহস্পতিবার নামখানায় সেই কর্মসূচির উদ্বোধনে এসেছিলেন অমিত শাহ। ভরা জনসভায় দাঁড়িয়ে খোদ শাহ বলে গেলেন, এ রাজ্যে বিজেপির অভিযানকে শক্তি দিয়েছে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া দুই নেতা। একজন শুভেন্দু অধিকারী, অন্যজন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় দাঁড়িয়ে বিজেপির সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ডের এমন ‘অনুমোদন’ বুঝিয়ে দিল, দলে তাঁদের গুরুত্ব কতটা। একইসঙ্গে উস্কে দিল জল্পনা, তৃণমূল-ভাঙা শক্তিই কি তবে বিজেপির হাতিয়ার?

আরও পড়ুন: সপ্তম বেতন কমিশন থেকে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ, ভোট বাংলায় শাহি প্রতিশ্রুতি

বাংলায় তৃণমূলের যখন উত্থান-পর্ব, তখন শুভেন্দু অধিকারী ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম নির্ভরযোগ্য সৈনিক। দুই মেদিনীপুরে তৃণমূলের ভিত মজবুত করতে দলনেত্রী চোখ বন্ধ করে ভরসা রেখেছেন শুভেন্দুতেই। মমতার ক্যাবিনেটের অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন অবিভক্ত মেদিনীপুরের এই ভূমিপুত্র। অন্যদিকে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্বল্পভাষী, মার্জিত ব্যবহারের জন্য তৃণমূলে ভিন্ন জায়গা করে নিয়েছিলেন। এই দুই জোড়া স্তম্ভের তৃণমূল-ত্যাগ বেশ ভালই নাড়িয়ে দেয় শাসকদলকে।

এর ফলে বিজেপি যে তার পুরোপুরি ‘ফায়দা’ পাচ্ছে এদিন শাহর মুখেও সে সুরই শোনা গেল। গত কয়েকদিনে শুভেন্দু কিংবা রাজীব যেভাবে মমতা ও তাঁর দলকে আক্রমণ শানিয়েছেন তাতে ধার বেড়েছে বিজেপির। তাঁরা দল ছাড়ার পরও মমতা কীভাবে সরকার ধরে রাখেন কার্যত চ্যালেঞ্জের সুরেই কিছুদিন আগে বলেছেন রাজীব। শুভেন্দু তো প্রতি নিয়ত দাবি করে আসছেন, তৃণমূলের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। আজকাল রাজনৈতিক সভাগুলিতে দিলীপ ঘোষ কিংবা সায়ন্তন বসুদের যত না বলতে শোনা যায়, তার থেকে ঢের বেশি বলেন শুভেন্দু-রাজীব।

আরও পড়ুন: Amit Shah Parivartan rath yatra Rally LIVE: বিজেপি এলে রাজ্যে সপ্তম পে কমিশন, নামখানায় ঘোষণা শাহের

দিলীপ ঘোষ যে বলেছিলেন, ‘তোমার শিল তোমার নোড়া তোমারই ভাঙব দাঁতের গোড়া’, সে স্ট্র্যাটেজিতেই বঙ্গ বিজয়ের লড়াইয়ে এগোতে চাইছে বিজেপি। এদিন অমিত শাহর মুখে আলাদা করে শুভেন্দু-রাজীবের নাম উঠে আসায় সে তত্ত্বেই সিলমোহর পড়ল।

বিজেপিতে যোগ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বরাবরই বলে এসেছেন, তাঁর কাজ উনপঞ্চাশকে এক্কান্ন করা। অর্থাৎ বিজেপির শক্ত ভিত আগেই ছিল। শুধুমাত্র বাড়তি শক্তি দিয়ে বিজেপিকে ক্ষমতা আনাই কাজ শুভেন্দু। শুভেন্দু ও রাজীব সে কাজ দায়িত্বের সঙ্গে সামলাচ্ছেন, এ দিনের সভায় শাহের দরাজ কণ্ঠে প্রশংসাই তা স্পষ্ট।

তবে যাঁদের শক্তি নিয়ে বিজেপির বঙ্গ জয়ের প্রস্তুতি, সেই তৃণমূল কী ভাবছে? শাহর বক্তব্য নিয়ে তৃণমূল মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কিন্তু খুব সুচারূভাবে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। শুধু বলেছেন, “এটা ওদের ব্যাপার। এখানে আমাদের তো কোনও বক্তব্য থাকার কথা নয়।”