Hospital: গর্ভবতীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে গিয়ে মারধরে মাথা ফাটল অ্যাম্বুল্যান্স চালকের! তীব্র উত্তেজনা হাসপাতালে
Ambulance Driver Beaten: হাসপাতালের গেটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের হাতেই বেধড়ক মারধর খেয়ে মাথা ফাটল চালকের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল এলাকায়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাসন্তী থেকে এক গর্ভবতী মহিলাকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করাতে এসে নিরাপত্তারক্ষীদের মারে মাথা ফাটাল এক অ্যাম্বুল্যান্স চালকের। হাসপাতালের গেটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের হাতেই বেধড়ক মারধর খেয়ে মাথা ফাটে তাঁর। মঙ্গলবার পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল এলাকায়।
জানা গিয়েছে, এদিন বাসন্তী ব্লকের ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের পানিখালি গ্রামের এক গর্ভবতী মহিলাকে চিকিৎসার জন্য নিজের অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে এসেছিলেন বাসন্তী হাসপাতালেরই রোগী বহনকারী এক অ্যাম্বুল্যান্স চালক রমজান সরদার। তাঁর অভিযোগ, হাসপাতালে রোগীকে ভর্তির জন্য ঢোকার সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দু’জন নিরাপত্তারক্ষী গর্ভবতী মহিলাকে শুধুমাত্র ঢুকতে দেয়। কিন্তু তিনি কাগজপত্র জমা দিয়ে সাহায্য করতে চাইলে অস্বীকার করা হয়। ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। যেহেতু ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর কোনও আত্মীয়-স্বজন ছিল না, তাই তাঁর ভর্তির সময় যাতে অসুবিধা না হয় সেটাই দেখতে যাচ্ছিলেন বলে চালকের দাবি।
কিন্তু এসব জানানোর পরেও কোনওভাবে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি হাসপাতালে। তা নিয়ে উভয়ের মধ্যে বচসা শুরু হতে আচমকাই ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালককে হাসপাতালের সামনে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে রক্ত গড়াতে থাকে ওই চালকের। আর এই গোটা ঘটনাটি ঘটে হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা অনেক রোগীর আত্মীয়দের সামনেই। তাঁরা সেই মারধরের ঘটনার প্রতিবাদ জানান। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়েছে ওই আক্রান্ত অ্যাম্বুল্যান্স চালককে। বিষয়টি ক্যানিং থানাতেও জানানো হয়েছে।
ওই চালকের কথায়, “আমি ডেলিভারি পেশেন্ট নিয়ে এসেছি। ভিতরে আমাকে ঢুকতে দেয়নি। সিকিউরিটি গার্ডরা মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দিল!” কপালের ক্ষতচিহ্ন দেখিয়ে তিনি যোগ করেন, “আমি কিচ্ছু বলিনি। আমার পেশেন্ট যাচ্ছে। তাই আমি ঢুকতে গিয়েছি, বলছে না, ঢুকতে দেব না। পেশেন্ট একাই যাবে। বলেই আমাকে মারল। আরেকজন ছিল আমার সঙ্গে সে ভয়ে চলে গিয়েছি। আমি বললাম আমি অ্যাম্বুল্যান্স ড্রাইভার। বলল, এক্ষুণি বেরো। বলে আমাকে মারল”।
তিনি আরও বলেন, একজন আমাকে ধাক্কা দিল। আমি অ্যাপ্লিকেশন করব বললাম। আরেকজন এসে মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দিল।
হাসপাতালে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, “ওখানে কী কথা হয়েছিল শুনতে পাইনি। কিন্তু এক দাদাকে দেখলাম মারধর করল সিকিউরিটি গার্ডরা। এটা তো ঠিক নয়। আমরা কেউ রোগী কেউ রোগীদের নিয়ে এসেছি। কোনও কিছু যদি হয়েও থাকে ঠান্ডা ভাবে কথা বললে তো মিটে যায়। এভাবে মারা তো ঠিক না”। এদিকে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
আরও পড়ুন: Bomb Blast: চলছিল বহুতল নির্মাণের কাজ, আচমকা পায়ে হেঁটে এসে বোমাবাজি ৩ দুষ্কৃতীর!