AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ISS: আইএসএস-এ দেশে দ্বিতীয় হলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার অর্ক মণ্ডল, জেলাজুড়ে খুশির হাওয়া

ISS: সদ্য প্রকাশিত হয়েছে আইইএস (IES) ও আইএসএস (ISS) পরীক্ষার ফল। আর ইউপিএসসি (UPSC)-র পরীক্ষায় তাক লাগালেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার আমতলার বাসিন্দা তারক মণ্ডলের পুত্র অর্ক।

ISS: আইএসএস-এ দেশে দ্বিতীয় হলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার অর্ক মণ্ডল, জেলাজুড়ে খুশির হাওয়া
বাবার সঙ্গে অর্ক। নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Dec 15, 2021 | 5:22 PM
Share

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সদ্য প্রকাশিত হয়েছে আইইএস (IES) ও আইএসএস (ISS) পরীক্ষার ফল। আর ইউপিএসসি (UPSC)-র পরীক্ষায় তাক লাগালেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার আমতলার বাসিন্দা তারক মণ্ডলের পুত্র অর্ক মণ্ডল (Arka Mondal)। ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল সার্ভিস বা আইএসএস পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন এই চিকিৎসক পুত্র। খুশির হাওয়া বিষ্ণুপুর থানার আমতলা এলাকায়।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত আমতলার চিকিৎসক তারক মণ্ডলের এক মাত্র পুত্র অর্ক মণ্ডল এবার তাক লাগিয়েছেন। আইএসএসে তিনি এবার সারা ভারতে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী। চলতি বছরের ১৬, ১৭, ১৮ জুলাই ইউপি এসসি-র পরীক্ষা হয়েছিল। তাতে পাশ করার পর প্রার্থীদের ডাকা হয় পার্সোনালিটি টেস্টে। সদ্য প্রকাশিত সেই ফলাফলে দেখা গেল আইএসএস বা ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিকাল সার্ভিসে তিনি দ্বিতীয় হয়েছেন। এ নিয়ে কী বলছেন অর্ক, কতটা খুশি তাঁর পরিবার?

এমন দারুণ রেজাল্ট করার পরও অর্কের পরিবার বলছে, পড়াশোনার কোনও বাঁধাধরা সময় ছিল না ছেলের। আর অর্কের কথায়, ” খুব ভাল লাগছে। এমন কঠিন পরীক্ষা অতিক্রম করে আসার পরে এমন সাফল্য… খুব ভাল লাগছে।” তিনি অবশ্য জানান, এমন ফল হবে আশা করেননি। তবে পরিশ্রমের ফল যে মিলবে সে বিষয়ে আত্মপ্রত্যয়ী ছিলেন তিনি।

কতক্ষণ পড়াশোনা করতেন? অর্কের কথায়, “বাঁধাধরা কোনও সময় ছিল না। এমনভাবে পড়তাম না যে পরের দিন ক্লান্ত লাগে। তার পর সেদিন আর পড়াশোনা হল না।” অর্কের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা সরিষা রামকৃষ্ণ মিশন থেকে। তার পর স্নাতক হন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত আশুতোষ কলেজ থেকে। তার পর এমএসসি কলকাতার বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। ২০২০ সাল থেকে শুরু করেন এই কঠিন সর্বভারতীয় পরীক্ষার প্রস্তুতি। মাত্র একবছরের মধ্যেই সাফল্য। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের ১৩ তারিখে এল সেই সাফল্য।

অর্ক জানান, কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে তাঁর বাবা মা সঙ্গে ছিলেন। দুই ভাইবোনের মধ্যে অর্ক ছোট। তাঁর এই সাফল্যের জন্য এঁদের সবার ভূমিকা রয়েছে বলে জানান অর্ক। এছাড়াও তাঁর পাশে ছিলেন বেশ কয়েকজন বন্ধু। অর্কের শখ ফটোগ্রাফি আর যোগব্যায়াম। আবার খেতেও দারুণ ভালবাসেন। মায়ের হাতে চিংড়ির মালাইকারি ও আর বাবার হাতে চিকেনের পদ তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। ছেলের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বাবা তারক মণ্ডল এবং মা কাকলি দেবী। চিকিৎসক ও শিক্ষিকার পুত্রের এমন অসাধারণ সাফল্যে খুশি প্রতিবেশীরা। অর্ক বলছেন দেশের সেবা করতে পারাটা তাঁর কাছে বড় ব্যাপার। তার উপর যদি আইএসএস অফিসার হিসাবে রাজ্যেই কাজ করতে পারেন তা হবে উপরি পাওনা। প্রসঙ্গত, এবার আইএসএসে প্রথম হয়েছেন অমিত কুমার। দ্বিতীয় স্থান করেছেন বাংলার অর্ক। তৃতীয় হয়েছেন মণীশ কুমার

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ‘দুয়ারের’ আদিগঙ্গা আছে সেই আদিতেই, মশার কামড়-কটূ গন্ধে অতিষ্ঠ তিলোত্তমাবাসী