Fishermen Rescued: উদ্ধার ৪৪ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী, ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে

South 24 Parganas: নিম্নচাপ এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে সমুদ্র বেশ উত্তাল ছিল। এই পরিস্থিতির মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়েছিল বাংলাদেশী মৎস্যজীবীদের ট্রলার। তারপর ভারতীয় মৎস্যজীবী ট্রলারের মধ্যে দফায় দফায় তাঁদের উদ্ধার করা হয়।

Fishermen Rescued: উদ্ধার ৪৪ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী, ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে
উদ্ধার বাংলাদেশি মৎস্যজীবীরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 21, 2022 | 1:47 PM

রায়দিঘি : রায়দিঘি থেকে শনিবার ১১ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয়েছিল। এরপরও নাগাড়ে চলতে থাকে উদ্ধারকাজ। প্রথমে ১১ জনকে উদ্ধারের পর আরও কয়েক দফায় রবিবার ভোর রাত পর্যন্ত মোট ৪৪ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয় ভারতীয় মৎস্যজীবী ট্রলারের মাধ্যমে। তাঁদের উদ্ধার করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা এলাকার সীতারামপুরে নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের তরফে তাঁদের নিকটবর্তী কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিম্নচাপ এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে সমুদ্র বেশ উত্তাল ছিল। এই পরিস্থিতির মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়েছিল বাংলাদেশী মৎস্যজীবীদের ট্রলার। তারপর ভারতীয় মৎস্যজীবী ট্রলারের মধ্যে দফায় দফায় তাঁদের উদ্ধার করা হয়।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তারা প্রায় তিন থেকে চারটি ট্রলার নিয়ে দুর্যোগের মধ্যে পড়েছিলেন। রবিবার সুন্দরবন পুলিশ জেলার তরফে উদ্ধার হওয়া ওই মৎস্যজীবীদের এক প্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সূত্রের খবর। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া মিটিয়ে খুব শীঘ্রই উদ্ধার হওয়া ওই মৎস্যজীবীদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

উদ্ধার হওয়া এক বাংলাদেশি মৎস্যজীবী জানিয়েছেন, “আমাদের বোট আটকে গিয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল তিনটের সময়। ওই বোটটিতে ১১ জন ছিলেন। বাড়ির জন্য চিন্তা হচ্ছে। কীভাবে যাব সেটাই ভাবছি।” সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, “ভারতীয় ট্রলারটি যখন ফিরছিল, তখন বাজিতচর নামে একটি জায়গার পূর্বদিকে ওদের দেখতে পায়। ওরা নদীতে ভাসছিল। সেই সময় ট্রলারটি প্রবল দুর্যোগ মাথায় নিয়ে ওদের উদ্ধার করে আজ রায়দিঘিতে নিয়ে আসে। সংগঠনের তরফ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়, এদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য। এখানে ওদের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার এবং পোশাকের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।”