Bhangar: ‘লুঙ্গির কোচে বোমা ছিল, নাচতে নাচতে ভাঁজ খুলে মাটিতে পড়ে ফাটে’, ভাঙড়ে তৃণমূল কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার নেপথ্যে অন্য তত্ত্ব
Bhangar: বৃহস্পতিবার রাত থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। ভোগালিতে তৃণমূল ও আইএসএফের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, তাঁরা মিছিল করে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে সময়ে অতর্কিতে তাঁদের ওপর বোমা ছোড়ে আইএসএফ। তাতে এক তৃণমূল কর্মীর দুই পা ঝলসে যায়।
ভাঙড়: এখনও পরিস্থিতি উত্তপ্ত ভাঙড়ে। গোটা গ্রামে ঘিরে রেখেছে পুলিশ, সিআরপিএফ। বৃহস্পতিবার রাতে ভাঙড়ে বোমাবাজির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম শেখ মোয়াজ্জেম ও শেখ নাসিরুদ্দিন। তাঁরা দুই জনই এলাকায় আইএসএফ কর্মী বলেই পরিচিত। তাঁদের শুক্রবার কাশীপুর থানা থেকে আদালতে পেশ করা হয়। আহত পাঁচ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর সকাল থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। গ্রামের মহিলারা কিছুটা বিক্ষোভ দেখান। তবে পরিস্থিতি আগেভাগেই সামলে নেয় সিআরপিএফ।
যদিও এই গোটা ঘটনার পিছনে ক্যানিং পূর্বে বিধায়ক শওকত মোল্লার হাত রয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করছেন ধৃত আইএসএফ কর্মী নাসিরউদ্দিন শেখের স্ত্রী তাঞ্জিনা বিবি। কিন্তু কীভাবে আহত হলেন তৃণমূল কর্মীরা? কাশীপুর থানার বাইরে দাঁড়িয়েই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তাঞ্জিনা বিবি বলেন, “এটা পুরো ষড়যন্ত্র করে করা হয়েছে। এর গোটাটার পিছনে শওকত মোল্লার হাত রয়েছে। ওর বুদ্ধিতে হয়েছে। শুরুতেই বোম মেরে মিছিল শুরু করেছিল। মেশিন ছিল ওদের হাতে। আমার বাড়ি রাস্তার ওপরে। তৃণমূল কর্মীদের লুঙ্গির ভিতর বোমা ছিল। ওরা মদ খেয়ে নাচ করছিল। সে সময় লুঙ্গির কোচ খুলে যায়। বোম নীচে পড়ে ফেটে নিয়ে জখম হয় নিজেরাই।”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। ভোগালিতে তৃণমূল ও আইএসএফের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তাতে আহত হয় এক শিশু-সহ ৭ জন। ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূল প্রথম থেকে অভিযোগ করছিল, তাঁরা মিছিল করে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে সময়ে অতর্কিতে তাঁদের ওপর বোমা ছোড়ে আইএসএফ। তাতে এক তৃণমূল কর্মীর দুই পা ঝলসে যায়। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। আহতদের প্রথমে উদ্ধার করে জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অবস্থায় অবনতি হওয়ায় তাঁদের পিজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গোটা ঘটনায় আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। তাঁর অভিযোগ, “রাজনৈতিকভাবে না পেরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো সন্ত্রাস তৈরি করছে নওশাদ সিদ্দিকি। ভোটের শেষ দফায় ভাঙড়ে নির্বাচন। বিশেষ সতর্কতায় বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে কমিশন। তারপরও তপ্ত হল ভাঙড়ের মাটি।