Murder in Sonarpur: লকডাউনে রোজগার না থাকায় স্ত্রীকে দেহ ব্যবসায় নামাতে চেয়েছিল, রাজি না হওয়ায় খুন করেছিল ভোম্বল
Murder in Sonarpur: চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর তা নিয়ে নতুন করে চাপানউতর শুরু হয়েছে সোনারপুরে। দোষীর কড়া শাস্তির দাবিও তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা।
সোনারপুর: বছর তিনেক আগে করোনা লকডাউন চলার সময় আচমকা গায়েব হয়ে গিয়েছিল স্ত্রী। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেলেনি খোঁজ। সন্দেহ গিয়েছিল স্বামীর দিকে। গ্রেফতারও হয়েছিল। কিন্তু, সঠিক তথ্য প্রমাণের অভাবে জামিন পেয়ে যায়। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে তদন্ত যায় সিআইডির হাতে। সিআইডির (CID) জেরাতেই শেষে ভেঙে পড়েন টুম্পা মণ্ডল নামে ওই মহিলার স্বামী ভোম্বল মণ্ডল। তিনিই খুন করেছিলেন স্ত্রীকে। স্বীকারও করে নেন। এখন সেফটি ট্য়াঙ্ক থেকে টুম্পার দেহ উদ্ধার করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। কিন্তু, কী কারণে খুন (Murder) তা নিয়ে ছিল ধোঁয়াশা।
সূত্রের খবর, পুলিশি জেরায় খুনের কারণ জানিয়েছে ভোম্বল। সেই জোর করে স্ত্রীকে দেহ ব্যবসায় নামাতে চেয়েছিল। লকডাউনে কোনও রোজগার না থাকাতেই এ কাজ করতে চেয়েছিল সে। নিজেই হতে চেয়েছিল স্ত্রীর দালাল। এমনকী অগ্রিম বাবদ তিন যুবকের থেকে কিছু টাকাও নিয়ে রেখেছিল। তাঁদের বাড়িতেও নিয়ে আসে। তখনই স্ত্রীর সঙ্গে ব্যাপক ঝামেলা হয় তাঁর। বাড়তে থাকে অশান্তি। তখন স্ত্রীর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে ভোম্বল।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর তা নিয়ে নতুন করে চাপানউতর শুরু হয়েছে সোনারপুরে। দোষীর কড়া শাস্তির দাবিও তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। সূত্রের খবর, সোনারপুরের মিলনপল্লীতে ভাড়ার বাড়িতে থাকতেন ভোম্বল। বাড়ির মালিক জানাচ্ছেন, লকডাউনের সময় স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়েই ওরা দুজন বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল। কিন্তু, কিছুদিন থাকার পর ওরা চলে যায়। যদিও তারপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি ওর স্ত্রীর। এরইমধ্যে ভোম্বলের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি এসে ঘরে থাকা বাকি জিনিসপত্র নিয়ে যান।