Coaching in school: স্কুলেই কোচিং শিক্ষকদের, যোগ না দিলেও টাকা দিতে হচ্ছে, সরব পড়ুয়ারা
Coaching in school: শেষ হয়নি সিলেবাস! টাকা নিয়ে পড়ুয়াদের কোচিং দিচ্ছেন স্কুলের শিক্ষকরা, ক্লাসে না এলেও বাধ্যতামূলকভাবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ।
নামখানা: গত কয়েক বছর ধরে স্কুলেই চলে আসছে কোচিং সেন্টার (Coaching in school)। সেই কোচিং সেন্টারে উপস্থিত না থাকলেও স্কুল কর্তৃপক্ষের ধার্য করা টাকা দিতেই হবে। কিন্তু পড়ুয়াদের একাংশ কোচিং না করার পাশাপাশি ধার্য টাকা দিতে রাজি নয়। ফলে স্কুলের এই বাধ্যতামূলক কোচিং করানো নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে একাংশ অভিভাবকদের মধ্যে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা (Namkhana) ইউনিয়ন হাইস্কুলের এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা। সিলেবাস শেষ না করে কোচিংয়ে আসার জন্য চাপও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের।
স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। শেষে নামখানার বিডিও-র দ্বারস্থ হয়েছে বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা। তাদের সাফ দাবি, কোচিংয়ে অনিচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদের থেকে সাবজেক্ট পিছু ৭০ টাকা করে মাসিক ৩৫০ টাকা থেকে ৪২০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু স্কুলের সিলেবাস স্কুলে শেষ না করে কোচিংয়ে আসার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে। ইতিমধ্যেই প্রধান শিক্ষক বিষয়টি নিয়ে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র অভিজিৎ দে জানায়, “কোচিংয়ে যারা যাচ্ছে বা যাচ্ছে না সকলের কাছ থেকেই বাধ্যতামূলকভাবে টাকা নেওয়া হচ্ছে। আমরা কোচিং নিতে না চাইলে বলা হচ্ছে এটা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে নাকি অফিসিয়াল অর্ডার রয়েছে। কিন্তু টাকা কেন নিচ্ছে বুঝতে পারছি না। কেনই বা টাকা নেওয়া হবে সেটা আমরা বুঝতে পারছি না। এই কোচিং শুরুর আগে অভিভাবক বা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি। এখন বলা হচ্ছে কোচিংয়ে আসি বা না আসি টাকা দিতেই হবে। আমরা চাই এই অন্যায়ভাবে টাকা নেওয়া বন্ধ হোক।” দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী পারমিত বারিক জানায়, “সিলেবাস শেষ করা তো স্যারদের দায়িত্ব। তাঁরা সেটা শেষ করতে পারেননি। এখন সেই সিলেবাস শেষ করার জন্য আমাদের থেকে টাকা নিয়ে কোচিং দেওয়া হচ্ছে। বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। উনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।”