Bhangar: পরকীয়ার মীমাংসা করাতে গিয়ে টাকা চাওয়ার অভিযোগ ISF সমর্থকদের বিরুদ্ধে
ISF in Bhangar: গৃহবধূকে মারধর এবং চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল আইএসএফ সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি গ্রামে।
ভাঙড়: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন এক গৃহবধূ। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিবারের মধ্যে ঝামেলাও হচ্ছিল বার বার। আর ওই ঝামেলা মিটিয়ে দেওয়ার নামে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ। তাঁরা এলাকায় আইএসএফ (ISF) সমর্থক হিসেবেই পরিচিত। শুধু তাই নয়, এরপর পার্টি অফিস করার জন্য জায়গাও চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু সেই দাবি মানতে চাননি গৃহবধূ। আর সেই কারণে গৃহবধূকে মারধর এবং চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল আইএসএফ সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি গ্রামে। ওই ঘটনার পর আক্রান্ত মহিলার পরিবার কাশিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে সংগঠনের কোনও যোগ নেই বলেই দাবি আইএসএফ নেতৃত্বের।
আক্রান্ত ওই মহিলা জানিয়েছেন, স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা হাওয়ার কারণে তিনি বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিলেন। এরপর অভিযুক্তরাই তাঁকে ফোন করে ডেকেছিল। বলেছিল, ঝামেলা সব মিটে যাবে। সেই মতো আবার সেই গ্রামে ফিরে আসেন ওই মহিলা। কিন্তু ওই মহিলা গ্রামে ফিরতেই এই কাণ্ড ঘটে বলে অভিযোগ। তাঁকে মারধর করা হয় এবং চুল কেটে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ মহিলার। যদিও ওই মহিলাকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্তরা। তাঁদের বক্তব্য, কোনও মারধর করা হয়নি। বোঝাতে যাওয়া হয়েছিল। তাঁরা আইএসএফ করেন বলেই তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা হাকিমূল ইসলাম। যাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের যথাযথ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে এই ঘটনার সঙ্গে আইএসএফ-এর কোনও যোগ নেই বলেই দাবি বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর। আইএসএফ বিধায়ক জানান, “আইএসএফ-কে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। এটি একটি পারিবারিক ঘটনা। এর সঙ্গে আইএসএফের কোনও যোগ নেই।”