Baruipur: বাবার কাছে নিয়ে যাব বলে চলেছিল লাগাতার ধর্ষণ, ৪ বছরের মাথায় অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা দিল আদালত

Baruipur: আসল ঘটনার সূত্রপাত ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই। অভিযোগ, অভিযুক্তের সঙ্গে নির্যাতিতার বাবার আগে থেকেই পরিচয় ছিল। তাঁর সঙ্গে একসঙ্গে কাজও করত। সেই সূত্র ধরেই নাবালিকার বাড়িতে অবাধ যাতায়াত ছিল অভিযুক্তের।

Baruipur: বাবার কাছে নিয়ে যাব বলে চলেছিল লাগাতার ধর্ষণ, ৪ বছরের মাথায় অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা দিল আদালত
প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 06, 2023 | 7:15 PM

বারুইপুর: বাবার কাছে নিয়ে যাবে বলে বাড়ি থেকে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়েছিল নাবালিকাকে। তারপর ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ৬ বছরের ওই শিশু কন্যার উপর চলে অকথ্য যৌন নির্যাতন। লাগাতার ধর্ষণও করা হয় বলে অভিযোগ। শেষে খুন করে ফেলে রেখে চলে যায়। ২০১৯ সালে ঘটা নারকীয় এ ঘটনায় অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা শোনাল বারুইপুর আদালত। এদিন ফাঁসির সাজা শোনান অতিরিক্ত ডিস্ট্রিক্ট ও সেশান বিচারক সন্দীপ কুমার মান্না। একইসঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, ধৃতের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩, ৩৬৫, ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। এদিন ফাঁসির সাজা ঘোষণার সময় বড় অঙ্কের জরিমানাও করা হয়েছে অভিযুক্তকে। আসল ঘটনার সূত্রপাত ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই। অভিযোগ, অভিযুক্তের সঙ্গে নির্যাতিতার বাবার আগে থেকেই পরিচয় ছিল। তাঁর সঙ্গে একসঙ্গে কাজও করত। সেই সূত্র ধরেই নাবালিকার বাড়িতে অবাধ যাতায়াত ছিল অভিযুক্তের।

তাঁকে দীর্ঘদিন থেকেই চিনত নাবালিকাও। তাই ঘটনার দিন সে যখন তাঁকে বাবার কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাতে সন্দেহ হয়নি নাবালিকার। এমনটাই জানাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, বাবার কাছে নিয়ে যাওয়ার বদলে এলাকায় পাঁচিল দেওয়া একটি জমির ভিতর নিয়ে গিয়ে তার উপর শুরু হয় অকথ্য নির্যাতন। একাধিকবার ধর্ষণও করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর তাঁকে খুন করে জঙ্গলের মধ্যে ফেলে রেখে চলে যায়। ঘটনার ৬ দিন পর উদ্ধার হয়েছিল নাবালিকার দেহ। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনাও তৈরি হয়েছিল এলাকায়। দোষীর কঠোর শাস্তির দাবি উঠেছিল। অবশেষে আদালতের তরফে ফাঁসির সাজা মেলায় খানিকটা হলেও স্বস্তিতে নির্যাতিতার পরিবার।