Mimi Chakraborty: ছিঃ ছিঃ এত্তা জঞ্জাল! অভিযোগ শুনে মিমি বললেন, ‘আমরা দ্বিতীয় হয়েছি, এই যে সার্টিফিকেট’
Mimi Chakraborty: মিমি চেয়ারম্যান নিযুক্ত হওয়ার পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার নলমুড়ি হাসপাতালে আসেন। প্রায় ছ'মাস আগে তিনি প্রথম রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক করেছিলেন।
ভাঙড়: ব্লক হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর (Mimi Chakraborty) সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ নলমুড়ি ব্লক হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। বুধবার রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে যোগ দিতে হাসপাতালে যান তিনি। বৈঠক শেষে ফেরার সময় চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাসিন্দারা। চেয়ারম্যান নিযুক্ত হওয়ার পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার নলমুড়ি হাসপাতালে আসেন মিমি। প্রায় ছ’মাস আগে প্রথম রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক করেছিলেন তিনি। মিমি ছাড়াও গতকালের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভাঙড় এক নম্বর ব্লকের প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এ দিন বৈঠক শেষে মিমি যখন বাইরে আসেন তখন স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁর সামনে রোগী পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন।
জানা গিয়েছে, সাংসদ মিমি চক্রবর্তী যখন গাড়িতে উঠে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে হাত নাড়তে থাকেন তখন, সুরজ মোল্লা নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা চিৎকার করে বলেন, “ম্যাডাম আপনার সঙ্গে হাসপাতালের সমস্যা নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই।” এরপরই মিমি চক্রবর্তী গাড়ি থেকে নেমে আসেন। তিনি সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে গিয়ে তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনেন।
পরে হাসপাতাল অপরিচ্ছন্ন অভিযোগ তুলে সরব হন এলাকাবাসী। এক বাসিন্দা বলেন, “হাসপাতালের সামনে জঞ্জাল পড়ে থাকে। কোনও-কোনও জায়গায় আলো জ্বলে না। মিমিদিকে সামনে পেয়ে বলে দিলাম। উনি এখানে এসেছেন বলে আজকে হাসপাতাল পরিষ্কার হয়েছে।” যদিও, অপরিচ্ছন্নতার কথা শুনে মিমি চক্রবর্তী বলেন, “পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে নলমুড়ি হাসপাতাল রাজ্যে দ্বিতীয়। আমরা অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছি। তবে কথা দিলাম রাজ্যের মধ্যে প্রথম হব।”