Child marriage: বাল্য বিবাহ রুখতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ, হাসপাতালে ৬
Child marriage: সূত্রের খবর, এদিন দক্ষিণ গঙ্গাধরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মতিলাল পাইক পাড়ায় জাহাঙ্গির পাইকের মেয়ের বিয়ে ছিল। কিন্তু কনে নাবালিকা বলে পুলিশের কাছে খবর আসে।
গঙ্গাধরপুর: বাল্য বিবাহ (Child marriage) রুখতে বরাবরই একাধিক পদক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে। ইতিমধ্যে নাবালিকাদের বিয়ে রুখতে প্রত্যয়ী নামে নিজস্ব পোর্টাল চালু করে ফেলেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। এরইমধ্যে এক নাবালিকার বিয়ে আটকাতে গিয়ে আক্রন্ত পুলিশ। ঘটনাস্থল ঢোলাহাট থানার মতিলাল পাইকপাড়া। এই ঘটনায় এক মহিলা কনস্টবেল, এক এএসআই, দু’জন পুরুষ কনস্টবেল, এক সিভিক ভলান্টিয়ার ও গাড়ির চালক-সহ ৬ জন আহত হয়েছেন বলে খবর। প্রত্যেককে চিকিৎসার জন্য গদামথুরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে খবর আসে, গ্রামে বিয়ে হচ্ছে এক নাবালিকার। খবর পেয়ে নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করতে গেলে পুলিশকে ঘিরে ধরে পরিবার ও প্রতিবেশীরা। পুলিশকে ঘিরে ধরার পাশাপাশি মারধর ও আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। মারধরের পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ পুলিশকে আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে আক্রান্ত পুলিশকর্মীদের উদ্ধার করে আনে। এই ঘটনায় তিন মহিলা সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, এদিন দক্ষিণ গঙ্গাধরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মতিলাল পাইক পাড়ায় জাহাঙ্গির পাইকের মেয়ের বিয়ে ছিল। কিন্তু কনে নাবালিকা বলে পুলিশের কাছে খবর আসে। পুলিশ বেলা তিনটে নাগাদ বিয়েবাড়িতে হাজির হয়। দেখতে চাওয়া হয় কনের জন্মের শংসাপত্র। কিন্তু, পরিবারের লোকজন তাতে রাজি হয়নি। এরপরই পুলিশকে ঘিরে ফেলে পরিবার ও প্রতিবেশীরা। পুলিশের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। মহিলা কনস্টেবল-সহ বাকি পুলিশ কর্মীদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এর মধ্যে বর ও কনে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় বিয়ের অনুষ্ঠান।
ঘটনায় সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কটেশ্বর রাও নলাভাট জানান, “ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে পুলিশের উপর হামলার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বাকিদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। নাবালিকা কনেকে উদ্ধারের জন্য তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।”