South 24 Pargana: ‘যেতে দেব না, দরকারে স্কুল বন্ধ করে দেব’, শিক্ষকদের বদলির নোটিস আসতেই বিক্ষোভ মথুরাপুরে

South 24 Pargana: কৌতলা প্রাইমারি স্কুলে ছিলেন ৮ জন শিক্ষক। তাঁদের মধ্যে ৬ জন প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পেতে চলেছেন। চলে যাচ্ছেন অন্য স্কুলে। ইতিমধ্যেই তাঁদের কাছে বদলির নোটিসও এসে গিয়েছে বলে খবর।

South 24 Pargana: ‘যেতে দেব না, দরকারে স্কুল বন্ধ করে দেব’, শিক্ষকদের বদলির নোটিস আসতেই বিক্ষোভ মথুরাপুরে
সকাল থেকেই তুমুল বিক্ষোভ স্কুলে Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 24, 2023 | 5:18 PM

মথুরাপুর: একইসঙ্গে ৬ শিক্ষকের বদলির নোটস আসতেই তালা ঝুলল স্কুলে। বন্ধ হয়ে গেল পঠনপাঠন। বিক্ষোভে নামলেন স্কুলের একটা বড় অংশের পড়ুয়া থেকে অভিভাবকেরা। সম্প্রতি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Pargana) জেলায় প্রাথমিক স্কুলের-সহ শিক্ষকদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ২৯৯৪ জনের প্রধান শিক্ষক পদের প্যানেল প্রকাশিত হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, এই প্যানেল প্রকাশের পর জেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। শিক্ষকদের বদলির খবর সামনে আসতেই এদিন সকাল থেকে মথুরাপুর-২ নম্বর ব্লকের কৌতলা প্রাইমারি স্কুলের অভিভাবক ও পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় স্কুলের পঠনপাঠন। 

কৌতলা প্রাইমারি স্কুলে ছিলেন ৮ জন শিক্ষক। তাঁদের মধ্যে ৬ জন প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পেতে চলেছেন। চলে যাচ্ছেন অন্য স্কুলে। ইতিমধ্যেই তাঁদের কাছে বদলির নোটিসও এসে গিয়েছে বলে খবর। কিন্তু, অভিভাবকদের দাবি একইসঙ্গে এতজন শিক্ষক অন্যত্র বদলি হয়ে গেলে স্কুলের পঠনপাঠনে ছাপ পড়বে। সামনেই পরীক্ষা, সে ক্ষেত্রেও সমস্যার মুখে পড়তে পারে ছাত্রছাত্রীরা। ফাঁকা পদে দ্রুত নতুন শিক্ষক না এলে সমস্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। সে কারণেই এদিন সকাল থেকে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।  

প্রসঙ্গত, এই স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৩০০ বেশি। বর্তমানে ৮ শিক্ষকের মধ্যে ৬ জনের বদলি হয়ে যাওয়ায় মাত্র ২ জন শিক্ষকের পক্ষে এত সংখ্যক পড়ুয়ার দায়িত্ব নেওয়া কার্যত অসম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। বাড়ছে উদ্বেগ। অভিভাবক রানু মণ্ডল ক্ষোভের সুরেই বলছেন, “সামনেই ছেলেমেয়েদের পরীক্ষা। এখন মাস্টারদের চলে যাওয়াটা ঠিক নয়। আমরা তাঁদের যেতে দিতে চাই না। সে কারণেই আমরা আন্দোলন করছি। পারলে স্কুল বন্ধ করে দেব। কিন্তু ওনাদের যেতে দেব না।” যদিও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অজিত নায়েক জানিয়েছেন, দ্রুত পাশের স্কুল থেকে শিক্ষকদের এই স্কুলে পাঠানো হবে। সমস্যা থাকবে না।