Anis Khan Death : আনিস মৃত্যুরহস্য নিয়ে ফেসবুক পোস্ট, পুলিশ তুলে নিয়ে গেল SFI নেতাকে
SFI Worker Arrested : আনিস খানের মৃত্যু নিয়ে ফেসবুক পোস্ট সোনারপুরের এসএফআই কর্মীর। তিনি আজ সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি মৈত্র এবং তাঁর স্বামীর কোলাজ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। সেই পোস্টের জন্যই সোনারপুর থানার পুলিশ তাঁকে আটক করে বলে জানা গিয়েছে।
সোনারপুর : ছাত্র নেতা আনিস খানের মৃত্যু (Anis Khan Death) ঘিরে ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য। বিক্ষোভের আগুন হাওড়া ছাড়িয়ে গোটা রাজ্যে ফুলকির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। এই আনিস খানের মৃত্যুর পর এক একটা চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। এর মধ্যে আনিস খানের মৃত্যু নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করায় আটক করা হল সোনারপুরের এক যুবক। জানা গিয়েছে আটক যুবক একজন এসএফআই (SFI) কর্মী। সোনারপুরের বাসিন্দা অভিজিৎ ঘোষ আনিস খানের খুনকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে পোস্ট করেন। তিনি সোনারপুর বোসপুকুর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি আজ সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি মৈত্র এবং তাঁর স্বামীর কোলাজ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। সেই পোস্টে তিনি লিখেছেন, “আমাদের ভুলে গেলে চলবে না ছাত্র নেতা আনিস খান খুনে অভিযুক্ত হাওড়া পুলিশের গ্রামীণ জেলা এসপি কিন্তু সোনারপুরের তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্রের স্বামী।” এই পোস্টের কারণেই তাঁকে সোনারপুর থানার পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বেশ কিছুক্ষণ আটক করার কিছুক্ষণ পর এসএফআই কর্মী অভিজিৎ ঘোষকে ছেড়ে দেয় সোনারপুর থানার পুলিশ। জামিনে ছাড়া পেয়ে সোনারপুর থানার বাইরে এসেই ক্ষোভ উগড়ে দেন অভিজিৎ ঘোষ। তিনি অভিযোগ করেছেন যে তাঁকে ও তাঁর মাকে হেনস্থা করা হয়েছে। তিনি সোনারপুর থানার বাইরে এসে বলেছেন, “আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আনিস খানের খুনের বিরুদ্ধে এসএফআই এর তরফে সোচ্চার হয়ে ফেসবুক পোস্ট করা হয় অভিযুক্ত হাওড়া পুলিশের গ্রামীণ জেলা এসপি কে নিয়ে। কিন্তু দুপুর ২ টো নাগাদ কিছু পুলিশ সাধারণ পোশাকে গিয়ে আমায় ধরে আনে। কোনও ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে কীভাবে নিয়ে আসা যায়!এই কারণ দেখিয়ে আমার মা বাধা দিতে গেলে তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। মায়ের পায়ে চোট লাগে।” তিনি আরও বলেছেন, “আমাকে থানায় তুলে এনে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করা হয়েছে।” এই ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিপিআইএম জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ী। অবিলম্বে আইসির অপসারণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
অভিজিৎ ঘোষকে সোনারপুর থানা থেকে ছাড়িয়ে আনেন এসএফআই কর্মীরা। তারপর সোনারপুর থানার সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন তাঁরা। তাঁরা আওয়াজ তোলেন যে ছাত্র আন্দোলনকে কোনওভাবে দমানো যাবে না। এর পাশাপাশি আনিস খানের মৃত্যুতে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিও জানান বিক্ষোভকারীরা। প্রসঙ্গত, মৃত ছাত্র নেতা আগে বাগনান কলেজে পড়াকালীন এসএফআই করতেন। তারপর তিনি আইএসএফ এ যোগ দেন। আজ আনিস খানের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা নিয়ে গিয়েছিলেন মন্ত্রী পুলক রায়। কিন্তু তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন স্থানীয়রা। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনিস খুনে হস্তক্ষেপ করেন। আনিস খুনের তদন্তের জন্য গঠন করা হয়েছে সিটও।
আরও পড়ুন : Bengal Tiger: ‘আমারে বাঘে ধরেছে, তুই এসে বাঁচা…’ বাঘের সঙ্গে লড়াই করছে স্বামী! থর থর করে কাঁপছে স্ত্রী