Post Poll Violence: বিজেপি কর্মী রাজু সামন্তকে রাস্তায় পিটিয়ে খুন, সিবিআইয়ের জালে তৃণমূল কর্মী

South 24 Pargana: রাজু সামন্তকে খুনের ঘটনায় আগেই তাঁর উপর সন্দেহ করেছিলেন তদন্তকারীরা। অবশেষে, সোমবার বিকেলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।

Post Poll Violence: বিজেপি কর্মী রাজু সামন্তকে রাস্তায় পিটিয়ে খুন, সিবিআইয়ের জালে তৃণমূল কর্মী
তদন্তে সিবিআই, ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 15, 2021 | 7:25 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে (Post Poll Violence Case)  বিজেপি কর্মী রাজু সামন্তকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় সোমবার সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার প্রতিনিধিরা। এদিন বিকেলে, ডায়মন্ড হারবারের ২ নম্বর ব্লকের খোর্দনালা গ্রাম থেকে দেবাশিস হালদার নামে ওই যুবককে আটক করা হয়।

পুলিশ ও সিবিআই সূত্রে খবর, দেবাশিস হালদার নামের ওই যুবক এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী নামে পরিচিত। রাজু সামন্তকে খুনের ঘটনায় আগেই তাঁর উপর সন্দেহ করেছিলেন তদন্তকারীরা। অবশেষে, সোমবার বিকেলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।

গত ২৯ মে, রামনগর থানার সাধুরহাটে রাজু সামন্তের দোকান বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে তাঁকে পিটিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। ঘটনার পর এলাকাবাসী অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায়। যদিও, পুলিশ গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়।

পুলিশের দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হওয়ার কথা উল্লেখ ছিল। তাই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এরপর, রাজু সামন্ত মৃত্যু-মামলায় তদন্তে নামে সিবিআই।  সিবিআইয়ের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিহত বিজেপি কর্মীর গ্রামে এসে মৃতের পরিজনদের সঙ্গে প্রায় ৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কথা বলেন। গত ২৯ আগস্ট তদন্তকারীরা রাজু সামন্তের বাডি়তে এসেছিলেন।

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় (Post Poll Violence)  খুন ও ধর্ষণের ঘটনাগুলির তদন্তের দায়ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেইমতোই রাজ্য পুলিশের তদন্তকারী অফিসারদের তলব করা শুরু করেছে সিবিআই। ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে মোট ৮৪ জন তদন্তকারী অফিসার বা আইও-র মধ্যে ইন্সপেক্টর, ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন। এছাড়া ২৫ জন কর্তা রয়েছেন এই দলে। জয়েন্ট ডিরেক্টর, ডিআইজি, এসপি পদমর্যাদার এই ২৫ জন অফিসার।

প্রত্যেক জোনের টিমে ২১ জন করে তদন্তকারী অফিসার বা আইও। ইতিমধ্যেই রাজ্যে পৌঁছেছেন ৪ যুগ্ম অধিকর্তারা। পৌঁছেছেন বেশিরভাগ ডিআইজি ও এসপি। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট আগেই জমা দিয়েছিল রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। একমাস পুরনো হয়ে গিয়েছে সেই রিপোর্ট। তাই বর্তমানে সেই তদন্ত ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে, কত দূর এগোল, তা জানতেই নতুন রিপোর্ট চেয়েছে  হাইকোর্ট। সিবিআই তদন্তে জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ৪০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। তদন্ত এখনও চলছে।

ইতিমধ্যেই এই মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার আবেদনে জানিয়েছিল, রাজ্যের অনুমতি না নিয়েই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এই মর্মে রাজ্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সেই মামলায় কেন্দ্রের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সিবিআইকে তদন্তের অনুমতি দেওয়ার বা সিবিআই তদন্ত বন্ধ করে দেওয়ার কোনও ক্ষমতা নেই রাজ্যের।

আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: ‘ভয়ঙ্কর অন্যায় করেছিলাম’, ভুলের ‘মাশুল’ দিতে প্রস্তুত অনুব্রত!