Government schemes: রাজ্যের মানুষ কতটা পাচ্ছেন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা? পরিদর্শনে খোদ বিডিও
South 24 Pargana: আবার বার্ধক্য ভাতা কিংবা কৃষক বন্ধু না পেয়ে কেউ কেউ অভিযোগ করেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাজ্যে চালু রয়েছে একাধিক সরকারি প্রকল্প। সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য সেই সকল প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু যাদের জন্য এই প্রকল্প আদৌ কি তাঁরা এর সুবিধা পাচ্ছেন? এই সংক্রান্ত একাধিক বিষয় খতিয়ে দেখতে এলাকা পরিদর্শন করলেন ভাঙড় ২ ব্লকের বিডিও।
গোটা রাজ্য জুড়ে একাধিক সরকারি প্রকল্প চালু আছে। দুয়ারে সরকার,পাড়ায় সমাধানের মাধ্যমে উপভোক্তাদের হাতে সরাসরি প্রকল্পের সুবিধা তুলে দিচ্ছে সরকার। কিন্তু সব সুবিধা কি নিচুতলা পর্যন্ত পৌছাচ্ছে?প্রকল্পের বাস্তবায়ন কতটা হয়েছে? তা দেখতেই সাত সকালে বেরিয়ে পরেছেন তিনি। সঙ্গে রয়েছে ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্তারাও। পাড়ায় পাড়ায় তিনি খোঁজ নিচ্ছেন কে কি পরিষেবা পেলেন বা কেন পেলেন না।
মঙ্গলবার সকালে বিডিও কার্তিকচন্দ্র রায় সপারিষদ হাজির হন ভোগালি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের চিলেতলা গ্রামে। সেখানকার সাধারণ কৃষক, ব্যবসায়ী গৃহবধূর সঙ্গে কথা বলেন। তার সঙ্গে ছিলেন ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আরাবুল ইসলাম এবং এলাকার প্রধান মোদাসসের হোসেন সহ অনান্যরা।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে টাকা পেয়ে অনেকেই দু হাত তুলে সরকারকে ধন্যবাদ জানান। আবার বার্ধক্য ভাতা কিংবা কৃষক বন্ধু না পেয়ে কেউ কেউ অভিযোগ করেন। তবে এই ভাবে শীতের সকালে প্রশাসনের কর্তারা পাড়ায় পাড়ায় ঘুরবেন তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি চিলেতলা গ্রামের মানুষজন। তবে শুধু চিলেতলা গ্রাম নয় এলাকার সবকটি পঞ্চায়েতের কোন কোন গ্রামে প্রতিদিন ঢু মারছেন এই টিম ।তাতে অনেক সমস্যার জট ছাড়ছে,মানুষের মুখে হাসি ফুটছে।
ভাঙড়ের বিডিও কার্তিক চন্দ্র রায় জানান, “আমরা একটি দল তৈরি করে এলাকা পরিদর্শনে বেরিয়েছি। আজ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখব আমরা। মূলত এখানকার মানুষ সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতেই এই পরিদর্শন।”
এধিকে, গতকাল জেলার উত্তর ২৪ পরগনায় হাসপাতাল পরিদর্শনে আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধির দল। ন্যাশনাল হেলথ মিশন থেকে প্রায় পনেরো থেকে কুড়ি জনের একটি প্রতিনিধি দল বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার একাধিক হাসপাতালে গিয়ে সরেজমিনে পরিষেবা খতিয়ে দেখেন।
এদিন টাকি গ্রামীণ হাসপাতাল ও বসিরহাট জেলা ও সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের একদিকে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। অন্যদিকে সি.সি.ইউ ও এস.এন.সি.ইউ, অপারেশন থিয়েটার ও ডায়ালিসিস সহ একাধিক বিভাগ পর্যবেক্ষণ করেন। পাশাপাশি হাসপাতালের রোগীদের দেওয়া ওষুধের গুণগত মানও পরীক্ষা করছেন।
এছাড়াও ব্লাড ব্য়াঙ্কে গিয়ে বিভিন্ন রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলি পরীক্ষা করে দেখছেন। স্বাস্থ্য জেলার বিভিন্ন হাসপাতালের বিভিন্ন ঘরে গিয়ে নিজেরাই পরিষেবা যাচাই করে নিচ্ছেন। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ন্যাশনাল হেল্থ মিশনের আধিকারিকরা এই ব্যাপারে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেননি এখনও। তারা পুরো ব্যাপারটিতেই গোপনীয়তা বজায় রেখেছেন।