Sonarpur Model Rape: শহরের উঠতি মডেলকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ‘ধর্ষণ, গর্ভপাতের জন্য চাপ’! কাঠগড়ায় হবু স্বামী
Sonarpur Rape Allegation: অভিযুক্ত ওই তরুণের বিরুদ্ধে সোমবার সোনারপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তরুণী।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শহরের উঠতি এক মডেলকে ধর্ষণের অভিযোগ। তরুণীর অভিযোগ, বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার পরেও হবু বর তাঁকে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ করেন। তার জেরে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তাঁকে গর্ভপাতের জন্য বারবার চাপ দেওয়া হয়। তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ তরুণীর।
অভিযুক্ত ওই তরুণের বিরুদ্ধে সোমবার সোনারপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তরুণী। অভিযুক্ত সোনারপুরের বাসিন্দা। কলকাতার নাইট ক্লাবের ম্যানেজার তিনি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কলকাতা শহরের একটি নামী নাইট ক্লাবের বার ম্যানেজার। নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেড় বছর আগে তাঁদের আলাপ হয়। তারপর তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
দুই পরিবার এক সঙ্গে বসে আগামী ২৯ নভেম্বর তাঁদের বিয়ের তারিখও ঠিক করে। তার আগেই বাবা ও মায়ের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে কিছু জরুরি আলোচনা রয়েছে, এই নাম করে তরুণীকে ফাঁকা বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান যুবক। অভিযোগ, সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করেন। এর কিছু দিন পর তাঁর শারীরিক পরিবর্তন হতে শুরু করে। তিনি বুঝতে পারে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। বিষয়টি যুবকটি জানানোর পর তিনি ধীরে ধীরে যোগাযোগ কমিয়ে দেন বলে দাবি করেন তরুণী। এমনকি ওই যুবক তাঁকে গর্ভপাতের জন্য চাপ দিতে থাকেন বলেও অভিযোগ। তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় তরুণীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
নিগৃহীতা বলেন, “দেড় বছর আগে ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল। এরপর ওই ছেলেটি আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। বাড়িতে জানাই। পরে প্রস্তাবে রাজি হই। দুই পরিবারের কথা হয়। অগাস্টের ৩ তারিখ ছেলেটি আমাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। বলেছিলেন, বাবা-মা কথা বলবে। বিয়ে নভেম্বর ২৯ ছিল। আমাকে মিথ্যা কথা বলা হয়েছিল। বাড়িতে দোতলায় নিয়ে গিয়ে আমাকে তিন বার ধর্ষণ করা হয়। আমি প্রশ্ন করেছিলাম। তখন আমাকে বলেছিলেন, আমাদের তো শীঘ্রই বিয়ে হবে। তার কিছুদিন পর আমার শরীর খারাপ হতে থাকে। আমার মা এখানে ছিলেন না। ওই আমাকে পরীক্ষা করে দেন। প্রেগন্যান্সি টেস্ট করাতে দেন চিকিত্সক। রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তখন ওঁ আমাকে কিছু বলেননি। কিন্তু পরে পরিস্থিতি বদলায়।”
নিগৃহীতার আরও দাবি, “ওঁ আরও একবার তারপর আমাকে বাড়িতে ডেকেছিলেন। তখন ওঁর বাড়িতে ভাই,বোন, বাবা-মা আমার ওপর চড়াও হন। ওঁর বোন আমার চুলের মুঠি ধরে মারধর করেন। আমাকে গর্ভপাতের জন্য চাপ দিতে থাকে। আমাকে তলপেটে ঘুষি মারা হয়।”
ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত। পরিবারের সদস্যদের তরফেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে। নিগৃহীতার বয়ানও খতিয়ে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: Narada Case: দেশ ছাড়া যাবে না, নারদ মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন ফিরহাদ-শোভন-মদনের