Tiger Attack: সুযোগ বুঝেই লাফিয়ে পড়ল ঘাড়ে! প্রাণ বাঁচাতে শুরু বাঘে-মানুষে খণ্ডযুদ্ধ
Sundarban: তাকে টানতে টানতে গভীর জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। শিকার ছাড়তে নারাজ বাঘ তার ভয়ঙ্কর রুদ্রমূর্তি ধারণ করে হুঙ্কার করতে থাকে।
সুন্দরবন: কয়েকদিনের বিরতি দিয়ে ফের বাঘের হামলার খবর সুন্দরবনে। বাঘের (Tiger) আক্রমণে গুরুতর জখম হলেন এক মৎস্যজীবী। ঘটনাটি প্রত্যন্ত সুন্দরবনের ৭ নম্বর পীরখালি জঙ্গল এলাকার। গুরুতর জখম মৎস্যজীবীর নাম আশীস দাস। তাঁর বাড়ি গোসাবা ব্লকের বালি ২ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের বিজয়নগর গ্রামে। জানা গিয়েছে, বিজয়নগর গ্রামের ৪ মৎস্যজীবীকে সঙ্গে নিয়ে গত বুধবার নৌকায় সুন্দরবন জঙ্গলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন আশীস কাঁকড়া ধরার জন্য। এরপর গতকাল সন্ধে নাগাদ পীরখালি ৭ নম্বর জঙ্গল লাগোয়া নদীখাঁড়িতে কাঁকড়া ধরার জন্য জাল ফেলছিলেন তাঁরা।
সূর্য অস্ত যাওয়ার পর অন্ধকার নামে জঙ্গলে। তখনই একটি বাঘ বেরিয়ে আসে। আচমকা ঝাঁপিয়ে পড়ে আশীস দাসের উপর। তাকে টানতে টানতে গভীর জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বাঘের মুখ থেকে সঙ্গীকে ফিরিয়ে আনতে বাকি মৎস্যজীবীরা কাঁকড়া ধরার শিক আর নৌকার বৈঠা নিয়ে বাঘের গতিপথ আটকে দেয়।
শুরু হয় বাঘে-মানুষে খন্ড যুদ্ধ। শিকার ছাড়তে নারাজ বাঘ তার ভয়ঙ্কর রুদ্রমূর্তি ধারণ করে হুঙ্কার করতে থাকে। শেষমেষ বেগতিক বাঘ বুঝে শিকার ছেড়ে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে পালিয়ে যায়। এক মুহূর্ত দেরী না করে সঙ্গীকে উদ্ধার করে নৌকায় তোলে তাঁরা। দ্রুত নৌকার হাল বেয়ে গোসাবায় পৌঁছায় মৎস্যজীবীদের দলটি। সেখানে গোসাবা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য।
প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই মৎস্যজীবীর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক হওয়ায় রাতেই তাকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা। সেখানেই বর্তমানে আশাঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ৯ তারিখ বাঘের হামলায় জখম হন আরও এক মৎস্যজীবী। সুন্দরবনের বেণীফেলি জঙ্গল লাগোয়া নদীর খাড়িতে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন লক্ষ্মীন্দর। দাদা সৌমিত্র ও প্রতিবেশী ইব্রাহিম শেখকে নিয়ে সোমবার সকালে নৌকায় রওনা হয়েছিলেন কাঁকড়া ধরতে। দুপুরের পর কাঁকড়া ধরার দোন(চার) ফেলে খেয়ে নেন তাঁরা। তারপর নৌকাতেই যখন তাঁরা বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, সেই সময় আচমকাই ম্যানগ্রোভ জঙ্গলের ভেতর থেকে একটি বাঘ ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁদের নৌকার ওপর। একেবারে লক্ষ্মীন্দরের মাথাতেই পড়ে প্রথম থাবাটা। সৌমিত্রর ভাইয়ের ওপরেও ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘ।
সৌমিত্র ও ইব্রাহিম তখন নৌকায় লাঠিসোটা ও বৈঠা নিয়ে বাঘের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। বেশ কিছুক্ষণ চলে বাঘে মানুষে লড়াই। বাঘ ভয়ে শিকার ছেড়ে প্রাণ বাঁচাতে জঙ্গলের মধ্যে পালিয়ে যায়।এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় লক্ষ্মীন্দরকে উদ্ধার করে রাতে নিয়ে যাওয়া হয় কুলতলি ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায় রাতেই চিকিৎসকরা তাঁকে স্থানান্তরিত করে দেন কলকাতার চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: School Reopening: স্কুল তো খুলছে! বাস বা পুল কার পাবে তো পড়ুয়ারা?