Central team visit hospital: জমেছে পাহাড়সম অভিযোগ, হাসপাতাল পরিদর্শনে উপস্থিত কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল
Basirhat Hospital: এছাড়াও ব্লাড ব্য়াঙ্কে গিয়ে বিভিন্ন রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলি পরীক্ষা করে দেখছেন।
বসিরহাট: এর আগে একাধিকবার উন্নত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে বসিরহাট হাসপাতালকে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরও হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে সরব হয়েছিল।
সেই কারণে এবার হাসপাতাল পরিদর্শনে এল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। ন্যাশনাল হেলথ মিশন থেকে প্রায় পনেরো থেকে কুড়ে জনের একটি প্রতিনিধি দল বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার একাধিক হাসপাতালে গিয়ে সরেজমিনে পরিষেবা খতিয়ে দেখেন।
এদিন টাকি গ্রামীণ হাসপাতাল ও বসিরহাট জেলা ও সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের একদিকে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। অন্যদিকে সি.সি.ইউ ও এস.এন.সি.ইউ, অপারেশন থিয়েটার ও ডায়ালিসিস সহ একাধিক বিভাগ পর্যবেক্ষণ করেন। পাশাপাশি হাসপাতালের রোগীদের দেওয়া ওষুধের গুণগত মানও পরীক্ষা করছেন।
এছাড়াও ব্লাড ব্য়াঙ্কে গিয়ে বিভিন্ন রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলি পরীক্ষা করে দেখছেন। স্বাস্থ্য জেলার বিভিন্ন হাসপাতালের বিভিন্ন ঘরে গিয়ে নিজেরাই পরিষেবা যাচাই করে নিচ্ছেন। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ন্যাশনাল হেল্থ মিশনের আধিকারিকরা এই ব্যাপারে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেননি এখনও। তারা পুরো ব্যাপারটিতেই গোপনীয়তা বজায় রেখেছেন।
সব মিলিয়ে ন্যাশনাল হেল্থ মিশনের প্রতিনিধিরা হাসপাতালে পরিদর্শনে আসায় স্বাস্থ্য দফতর চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রাথমিক সূত্রে জানা গিয়েছে এরপর ওই প্রতিনিধি দল বাদুড়িয়া, সন্দেশখালি, হাড়োয়া, স্বরূপনগরের গ্রামীণ হাসপাতাল গুলিও পর্যবেক্ষণে যাবেন।
এদিকে, বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চরম অব্যবস্থার অভিযোগ উঠছিল কয়েকদিন ধরে। গতকাল, হাসপাতালের অসুখ সারাতে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হলো জরুরী ভিত্তিতে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিমান বন্দোপাধ্যায়(Biman Banerjee) ও বিভাস সর্দারের (Bibhas Sardar) সঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম ও রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। ছিলেন জেলার ও মহাকুমার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। বৈঠকে একাধিক বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দেন উপস্থিত ব্যক্তিরা। পাশাপাশি হাসপাতাল সুপারকেও নিয়মিত পাওয়া পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ জানানো হয়। সূত্রের খবর, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে তার অসন্তোষ প্রকাশ করেন।এই প্রসঙ্গে রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, “কেন রোগীদেরকে বারবার অন্য হাসাপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে তা হাসপাতাল সুপারকেই দেখতে হবে। সেই উন্নত পরিষেবা দেওয়ার আশ্বাস জানান তিনি।”
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা (South 24 Pargana) জেলার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। সুন্দরবন সহ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ এই দু’টি হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। অথচ হাসপাতাল দু’টিতে স্বাস্থ্যপরিসেবা দিন-দিন বেহাল অবস্থায় পৌঁছেছে। সেই কারণেই আসরে নামেন খোদ বিমান।