Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Saokat Molla: ‘দুর্নীতি করলে তাড়িয়ে দেব’, ভোটের আগে নেতাদের সোজাসাপ্টা হুঁশিয়ারি শওকতের

Saokat Molla: রবিবার ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের ৯টি পঞ্চায়েত এলাকার কর্মীদের নিয়ে সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন শওকত মোল্লা। সভায় শওকত ছাড়াও তৃণমূল নেতা শাহজাহান মোল্লা,ঝর্ণা মণ্ডল,বাহারুল ইসলামরা বক্তব্য রাখেন। প্রত্যেকেই কার্যত আক্রমণ করেন আইএসএফকে। সেই মঞ্চ থেকেই কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করতে শোনা যায় তৃণমূল বিধায়ককে।

Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 15, 2024 | 1:31 PM

ভাঙড়: বিরোধীদের হুমকি দিয়ে সম্প্রতি বিতর্ক বাড়িয়েছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। ‘জিনা হারাম’ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। এবার দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দাপুটে এই তৃণমূল নেতার। আসন্ন লোকসভা ভোটে ভাল ফলাফল না করলে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন তিনি।

রবিবার ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের ৯টি পঞ্চায়েত এলাকার কর্মীদের নিয়ে সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন শওকত মোল্লা। সভায় শওকত ছাড়াও তৃণমূল নেতা শাহজাহান মোল্লা,ঝর্ণা মণ্ডল,বাহারুল ইসলামরা বক্তব্য রাখেন। প্রত্যেকেই কার্যত আক্রমণ করেন আইএসএফকে। সেই মঞ্চ থেকেই কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করতে শোনা যায় তৃণমূল বিধায়ককে। আসন্ন নির্বাচনে তৃণমূলকে যে জিততেই হবে তা কার্যত দলের নেতা কর্মীদের রন্ধ্রে-রন্ধ্রে ঢুকিয়ে দেন তিনি।

এ দিন শওকত বলেন, “এবার থেকে প্রতিটি পঞ্চায়েতে তিনজন করে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করা হবে। ওই পর্যবেক্ষকরা পঞ্চায়েতের সমস্ত কাজকর্ম পর্যবেক্ষণ করবেন। কোথাও কোনও দুর্নীতি,খারাপ কাজ হলে যদি সেটা তদন্তে উঠে আসে,তাহলে সেই নেতা পঞ্চায়েত প্রধানকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার সমস্ত ব্যবস্থা করা হবে।”

তবে শওকতের ঝাঁঝালো এই আক্রমণ কেন? রাজনৈতিক কারবারিদের মতে, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার একমাত্র ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রটি তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছিল। এখান থেকে বিপুল ভোট পেয়ে জিতেছিলেন আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি। শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এই এলাকা থেকে ভাল ফল করেছে আইএসএফ শিবির। শওকত ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পাওয়ার পরও আইএসএফ ভাল ফল করেছে। ফলত, লোকসভা ভোটে সেই খারাপ ফলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তাই কর্মীদের কড়া বার্তা দিচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও, এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আড়াই বছর আগে তো সরানো যায় না, অশিক্ষিত নেতা। ক্লাস এইট পাস কি না সন্দেহ। যদি পাশ সার্টিফিকেট থাকে তা জাল। তৃণমূল নেতারা, চোর লম্পট, রেপিস্ট, ডায়মন্ড হারবারে তো পাংচার হয়ে গিয়েছে। তাই মানিকতলায় দাঁড়িয়ে ভাইপো মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করছেন।”