Snake Bite: অন্ধকার রাস্তায় সাপের ছোবল মহিলাকে, এরপরই এক কাণ্ড ঘটালেন তিনি…
Snake: বর্ষা মানেই গ্রামেগঞ্জে সাপের উৎপাত। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মহকুমা কিংবা জেলা হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসাধীন রোগীদের একটা বড় অংশ সাপে কাটা রোগী।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সাপ কামড়েছিল গৃহবধূকে। চিকিৎসায় যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে কারণে সাপটিকে প্লাস্টিকে ভরে সটান হাসপাতালে এসে হাজির হন তিনি। শুক্রবার রাতে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। শুক্রবার সন্ধ্যাবেলা প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে ফিরছিলেন গৃহবধূ। ক্যানিং মহকুমার ঘুটিয়ারিশরিফের বাসিন্দা সাবিনা হালদার। তাঁকেই ছোবল মারে সাপ। তিনি জানান, গ্রামের রাস্তা। চারদিকে অন্ধকার। এরমধ্যে আবার বর্ষাকাল। রাস্তায় কাদা-জলও কোথাও কোথাও। হঠাৎই তাঁর পায়ে কী যেন একটা কামড় মেরে ধরে। জ্বলে যায় সারা শরীর। কোনওমতে হাতে থাকা মোবাইল ফোনের টর্চটা অন করেন। দেখেন একটি সাপ। এদিকে চোখে আলো পড়তেই ফুঁসে ওঠে সাপটি। ফের দংশনের চেষ্টা করে।
সাবিনা জানান, পাল্টা তিনি সাপটির লেজে বারি মারেন। এরপরই হাতে থাকা একটি প্লাস্টিকে ভরে ফেলেন সেটিকে। প্রথমে সাপটি নিয়ে বাড়িতে যান। সকলকে বিষয়টি জানান। বাড়ির লোকজনই সঙ্গে সঙ্গে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যান সাবিনাকে। চিকিৎসার সুবিধার জন্য সাপটিকেও সঙ্গে রাখেন। সাবিনা হালদার বলেন, “অন্ধকারে হঠাৎই পায়ের মধ্যে কী যেন একটা কামড়াল। মোবাইলের আলো জ্বালতেই দেখি সাপ। কী সাপ চিনতে পারিনি। তবে আলো পড়তেই আবার আবার দিকে তেড়ে আসছিল। তখন আমি পাল্টা মারি।”
বর্ষা মানেই গ্রামেগঞ্জে সাপের উৎপাত। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মহকুমা কিংবা জেলা হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসাধীন রোগীদের একটা বড় অংশ সাপে কাটা রোগী। চিকিৎসকদের মতে, একে তো সচেতনতার অভাবে বহু মানুষ সাপ কামড়ানোর পর হাসপাতালে আসতে চান না। তারপর যদিও বা আসেন সেক্ষেত্রে কোন সাপ দংশন করেছে, তা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা থাকে। ফলে চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটা অন্তরায় তৈরি হয়। গত কয়েকদিনে একাধিক জায়গায় এই ছবি দেখা গিয়েছে। যেখানে সাপে কাটা রোগী সঙ্গে করেই নিয়ে এসেছেন সেই সাপকে। কিছুদিন আগেই কাটোয়া হাসপাতালে এক সাপে কাটা রোগী জ্যান্ত সাপ নিয়ে পৌঁছে যান। পাণ্ডুয়ার গ্রামীণ হাসপাতালেও একই ছবি দেখা গিয়েছে সম্প্রতি।