Sundarban: নিম্নচাপ ও ভরা কোটালের জোড়া ফলা, বিধ্বস্ত সুন্দরবনের একাধিক এলাকা

South 24 pargana: এ দিকে, আজ সকাল থেকে নদী ও সমুদ্রের জলস্তর কমতে থাকায় নতুন করে আর কোথাও জল ঢোকেনি। সুন্দরবনের সাগর, নামখানা, রায়দিঘি, পাথরপ্রতিমা বাঁধ লাগোয়া এলাকায় নতুন করে আর জল ঢোকেনি।

Sundarban: নিম্নচাপ ও ভরা কোটালের জোড়া ফলা, বিধ্বস্ত সুন্দরবনের একাধিক এলাকা
সুন্দরবনের বিস্তর্ণ অঞ্চলে জলে ভরা (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 16, 2022 | 1:43 PM

সুন্দরবন: বিগত কয়েকদিন ধরেই সুন্দরবনের পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। নিম্নচাপ ও ভরা কোটালের জেরে নদী ও সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। যার জেরে রীতিমত আতঙ্কিত সেখানকার বাসিন্দারা। বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যে জল ঢুকতে শুরু করেছে। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাকদ্বীপ মহকুমার সাগর ব্লক। সেখানে বঙ্কিমনগর ও গঙ্গাসারের উপকূলের বড় অংশের বাঁধ ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে।

এ দিকে, আজ সকাল থেকে নদী ও সমুদ্রের জলস্তর কমতে থাকায় নতুন করে আর কোথাও জল ঢোকেনি। সুন্দরবনের সাগর, নামখানা, রায়দিঘি, পাথরপ্রতিমা বাঁধ লাগোয়া এলাকায় নতুন করে আর জল ঢোকেনি।

তবে দু’সপ্তাহ পর আবারও অম্যাবস্যার কোটাল। সেই কোটালের আগে বেহাল রাস্তা ও ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামত করা কার্যত অসম্ভব। বর্ষার জেরে বাঁধ এলাকার মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে। যার ফলে মেরামতির কাজ করার ক্ষেত্র সমস্যায় পড়তে হতে পারে শ্রমিকদের। তবে সেচ দফতর কীভাবে অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলি মেরামত করে তা দেখার।

অপর দিকে করুণ অবস্থা সন্দেশখালিরও। সেখানে ২ নম্বর ব্লকের মণিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা বাঁধ দিয়েছেন বটে। তবে মাটি দিয়ে সেই বাঁধ দেওয়ায় সেই বাঁধের অবস্থা শোচনীয়। ধুয়ে গিয়েছে মাটি। ফলত গলগল করে গ্রামে ঢুকতে শুরু করেছে রায়মঙ্গল নদীর জল।

শুধু মণিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতই নয়। মণিপুর সহ পূর্বপাড়া, নলপাড়া এবং মিঠাখালি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে প্রায় কয়েক কিলোমিটার জুড়ে নদী বাঁধের এমনই বেহাল দশা।