Sundarban: বিপর্যয় মোকাবিলায় বাঁশ, ত্রিপল-চাঁচ দিয়ে চলছে বাঁধ মেরামতি, থাকবে কতক্ষণ?
Sundarban: মাটির নদী বাঁধ ভেঙ্গে নোনা জল ঢুকে জলমগ্ন হয়ে পড়ে গ্রামের পর গ্রাম। নষ্ট হয় চাষের জমি,মাছ চাষের পুকুর। ফি বছর নদী বাঁধ নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটে সুন্দরবনবাসীর।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: উপকূলে গভীর নিম্নচাপ ঘনীভূত। আর এদিকে আশঙ্কার কালো মেঘ ঘনীভূত সুন্দরবনের বাসিন্দাদের মনে। দুর্যোগ এলেই আতঙ্কের প্রহর গোনেন তাঁরা। কখন ভেঙে পড়ে দুর্বল বাঁধ, ভেসে যায় গ্রাম, ভেসে যায় সর্বস্ব- সেই আতঙ্কেই রাত জাগেন তাঁরা। মাটির তৈরি দুর্বল বাঁধ নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কে থাকেন গ্রামবাসীরা। তাই শুরু হয়েছে বাঁধ মেরামতি।
মাটির নদী বাঁধ ভেঙ্গে নোনা জল ঢুকে জলমগ্ন হয়ে পড়ে গ্রামের পর গ্রাম। নষ্ট হয় চাষের জমি,মাছ চাষের পুকুর। ফি বছর নদী বাঁধ নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটে সুন্দরবনবাসীর। প্রবল জলোচ্ছ্বাস থেকে বাঁধকে রক্ষা করার জন্য প্রশাসনের তৎপরতায় দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে অস্থায়ীভাবে চলছে ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধ মেরামতি।
বাঁশ, ত্রিপল ও চাঁচ দিয়ে চলছে বাঁধ রক্ষার কাজ। যাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ও নদীর প্রবল জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ ভেঙে নোনা জল গ্রামের প্রবেশ করতে না পারে, সে কারণেই চলছে বাঁধ মেরামতি। আর এমনই চিত্র ধরা পড়ল ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের রেদোখালি গ্রামে। তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, যেভাবে বাঁশ ত্রিপল দিয়ে বাঁধকে রক্ষা করার চেষ্টা চলছে,তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। যে কোনও বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগে নদী বাঁধ ভাঙতে পারে, আশঙ্কা গ্রামবাসীদের। সুন্দরবনে কংক্রিটের নদী বাঁধ তৈরির দাবি জানাচ্ছেন বাসিন্দারা। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, শুক্রবার বিকালে সাগর দ্বীপ ও বালেশ্বরের মধ্যে দিয়ে স্থলভাগে ঢুকবে অতি গভীর নিম্নচাপ। এই মুহূর্তে দিঘা থেকে ২৫০ কিমি, সাগর থেকে ২১০ কিমি দূরে গভীর নিম্নচাপটি অবস্থান করছে। এর ফলে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।