Sundarban Deer: কোর এলাকা থেকে ধরে আনে, পাড়ায় তাকে নিয়েই চলে পুরুষদের মোচ্ছব, শেষে মেরে বেঁচে দেয় বাজারে! শিউরে ওঠার মতো কাণ্ড
Sundarban Deer: কোর এলাকায় এমনিতেই মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু সেখানেই লুকিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন মৎস্যজীবীদের একটা দল।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কেন্দুয়া দ্বীপ, সুন্দরবনের একেবারে কোর এলাকা। মাছ ধরতে ধরতে একেবারে সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন ওঁরা। জঙ্গল থেকে একটি হরিণ ধরে এনেছিলেন। তারপর গ্রামে ফিরে সেই হরিণ চলে চড়ুইভাতি। বাকি মাংস আবার বাজারে চড়া দামে বিক্রিও করেন। গোপন সূত্রে সেই খবর পৌঁছে গিয়েছিল বন আধিকারিকদের কাছে। হাতেনাতে পাকড়াও দুই যুবক। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে হরিণের চামড়া। ধৃত দু’জনকে বৃহস্পতিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। ধৃতরা দুজনেই পেশায় মৎস্যজীবী। বন দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, সুন্দরবনের টাইগার রিজার্ভ ফরেস্টের এলাকার হল কেন্দুয়া দ্বীপ। কোর এলাকায় এমনিতেই মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু সেখানেই লুকিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন মৎস্যজীবীদের একটা দল।
মাছ-কাঁকড়া তো ধরেছিলেন, সঙ্গে করে ধরে এনেছিলেন একটা হরিণ। গ্রামে ফিরে সবাই মিলে একটা চড়ুইভাতিও করেন। তারপরও মাংস বেঁচে থাকে বেশ কিছুটা। সেই মাংস বিক্রি করার অভিযোগ ওঠে চড়া দামে। গোপন সূত্রে খবর পান কুলতলি থানার পুলিশ আধিকারিকরা। কুলতলি ব্লকের গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের কৈখালি এলাকা থেকে সুন্দর নস্কর ও কানাই দাস নামে দু’জনকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করেছেন। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে হরিণের চামড়া। ধৃত দু’জনকে বৃহস্পতিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে।
উল্লেখ্য, অতীতেও সুন্দরবনে চোরা শিকারীদের ব্যাপক দাপাদাপি ছিল। বাঘ ও হরিণ শিকার করে চামড়া ও মাংস বিক্রি করতেন। বর্তমানে বন দফতরের তৎপরতায় সেই দাপাদাপি একেবারেই প্রায় বন্ধ। তার মধ্যেও চোরাপথে লোকজন মৎস্যজীবী সেজে ঢুকে পড়েন সুন্দরবনের জঙ্গলে। হরিণ শিকার করে মাংস ও চামড়া বিক্রি করার চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে ধৃত দু’জন বাদে আর কারা জড়িত, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে কুলতলি থানার পুলিশ।