Sundorbon Tiger Attack: জঙ্গলের ভিতর তীক্ষ্ণ নজর, আচমকাই বিট অফিসারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল বাঘ! গোসাবায় ভয়ঙ্কর ঘটনা

Sundorbon Tiger: শুক্রবার সকালে গোসাবা ব্লকের অন্তর্গত লাহিড়িপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামের বিধান কলোনিতে নতুন করে বাঘের আতঙ্ক ছড়ায়।

Sundorbon Tiger Attack: জঙ্গলের ভিতর তীক্ষ্ণ নজর, আচমকাই বিট অফিসারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল বাঘ! গোসাবায় ভয়ঙ্কর ঘটনা
গোসাবায় বাঘের হামলায় গুরুতর জখম বিট অফিসার (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 01, 2022 | 12:59 PM

সুন্দরবন: পরিস্থিতি হচ্ছে জোরাল। বাঘের হামলায় এবার জখম সজনেখালি বিটের অফিসার পার্থ হালদার।  তাঁকে স্পিড বোটে গোসাবা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গোসাবার গ্লাসখালি ও এমলিবাড়ি গ্রাম লাগোয়া নদীর চরে বাঘের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন বনকর্মীরা। সেই দলে ছিলেন বিট অফিসার পার্থ হালদারও। সেসময়ই আচমকা বাঘ ঝাঁপিয়ে পড়ে। থাবা লাগে তাঁর গায়ে। আকস্মিকতার ঘোর কাটিয়ে ওঠার আগেই পার্থর শরীরের মাংস খুবলে নিয়ে পালিয়ে যায় বাঘ।

ক্রমেই পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে গোসাবায়। আগে বাঘটি ছিল চরঘেরি এলাকায়। চার কিলোমিটার দূরে গ্লাসখালি ও এমলিবাড়ি গ্রাম লাগোয়া নদীর চরে বাঘটিকে শনিবার সকালে দেখতে পাওয়া যায়। সাতজেলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একাধিক জায়গায় গ্রামবাসীরা বাঘের পায়ের টাটকা ছাপ দেখতে পেয়েছেন বলে জানান। বাঘের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের বন কর্মীরাl ওই এলাকার বাসিন্দারা নতুন করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেনl এদিন সকালে প্রথমে সেখানকার মৎস্যজীবীরে নজরে পড়ে বাঘের পায়ের ছাপ।

শুক্রবার সকালে গোসাবা ব্লকের অন্তর্গত লাহিড়িপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামের বিধান কলোনিতে নতুন করে বাঘের আতঙ্ক ছড়ায়। চর এলাকায় একাধিক পায়ের ছাপ দেখতে পান তাঁরা। মৎস্যজীবীরাই গ্রামের দিকে থাকা গোমর নদীর চর ধরে এগোতে থাকেন। সেখানে পায়ের ছাপ দেখতে পান বলে দাবি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বনকর্মীরাও।

বন দফতর গ্রামের দিকে নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলেন। যাতে নদী সাঁতরে আবার নিজের জঙ্গলে ফেরত যেতে পারে বাঘটি, সেই ব্যবস্থা করা হয়। সজনেখালি, বসিরহাট রেঞ্জের সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আরও বন কর্মীরা সেখানে চলে যান। ছিলেন সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপ ক্ষেত্র অধিকর্তা জোন্স জাস্টিন। সকালে আবার অন্যত্র দেখা যায় বাঘের পায়ের ছাপ।

সপ্তাহ খানেকও পেরোয়নি। ৬ দিন ধরে বাঘবন্দির খেলার সাক্ষী ছিলেন সুন্দরবনবাসী। বাঘকে ধরতে গিয়ে গত ছ’দিনে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি বনকর্মীদের। ট্রাঙ্কুলাইজার নিয়ে বনকর্মীদের অভিযান, পিয়ালি নদী থেকে দমকলকর্মীদের জল স্প্রে, জঙ্গলে লঙ্কা বোমা নিক্ষেপ- কী না করা হয়েছে! কিন্তু বাঘ ছিল তার নিজের অবস্থানেই। বন দফতরের কর্মীরা তাকে নাগালে পাননি। শোনা যাচ্ছিল তার গর্জন, চোখে পড়ছিল পায়ের ছাপ, শুধু দেখা দিচ্ছিল না সে-ই।

কয়েকদিন ধরে অভুক্ত ছিল বাঘটি। তাই সে যেখানে ছিল, সেখান থেকে বের হচ্ছিল না। বাঘটির দেখা মিলতেই পরপর দুটি ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হয়। গুলি করার কিছুসময় পরেই নিস্তেজ হয়ে পড়ে বাঘটি। পুরোপুরি নিস্তেজ হয়ে গেলে ডোরাকাটাকে পরীক্ষা করতে যান পশু চিকিৎসক ও অন্যান্য উচ্চ পদস্থ কর্মীরা।

গত বুধবার সাতসকালে বনদফতরের তরফে রামগঙ্গা রেঞ্জের অন্তর্গত ঢুলিভাসানি ৪ নম্বর জঙ্গলেরামগঙ্গা রেঞ্জের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয় কুলতলির লোকালয়ে চলে আসা চালা বাঘটিকে।

আরও পড়ুন : Asansol Mine Fire: খনিগর্ভে দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন, সেখানেই ধসে তলিয়ে গেলেন ইসিএলের আধিকারিক