TMC-ISF Clash: এখনও থমথমে ভাঙড়, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বাসন্তী হাইওয়ে জুড়ে নাকা চেকিং

Bhangar: বারুইপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গোটা বাসন্তী হাইওয়ে বিশেষ করে ভোজেরহাট জুড়ে সোনারপুর, বারুইপুর, ক্যানিং মহকুমা ও ভাঙড় পুলিশ একযোগে কাজ করছে।

TMC-ISF Clash: এখনও থমথমে ভাঙড়, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বাসন্তী হাইওয়ে জুড়ে নাকা চেকিং
ভাঙড়ে পুলিশ, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 07, 2021 | 8:14 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দিনভর অশান্ত থাকার পর অবশেষে বিক্ষোভকারীদের হঠাতে পারলেও ভাঙড়ে (Bhangar) এখনও থমথমে পরিবেশ। গোটা বাসন্তী হাইওয়ে জুড়ে চলছে নাকা চেকিং। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল সংখ্যক পুলিশবাহিনী।

সূত্রের খবর, বিক্ষোভ থামলেও ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে পরিস্থিতি। তাই কোনওরকম অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। নামানো হয়েছে RAF। চলছে নাকা চেকিংও। কোনও গাড়ি দেখে সন্দেহ হলেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখালে তবেই মিলছে ছাড়পত্র।

বারুইপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গোটা বাসন্তী হাইওয়ে বিশেষ করে ভোজেরহাট জুড়ে সোনারপুর, বারুইপুর, ক্যানিং মহকুমা ও ভাঙড় পুলিশ একযোগে কাজ করছে। রবিবার, নবী সম্মেলন উপলক্ষ্যে আইএসএফ (ISF) সমর্থকেরা একটি বিক্ষোভের চেষ্টা করতে পারে এমন খবর আগে থেকেই ছিল পুলিশ কর্তাদের কাছে। রবিবার কার্যত দেখা যায়  রণক্ষেত্রে পরিণত  হয়েছে ভাঙড়। বাসন্তী হাইওয়ের একপ্রান্ত থেকে ইটবৃষ্টি শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা, তো অন্যদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়।

আইএসএফ কর্মীদের অভিযোগ, আব্বাস সিদ্দিকীর  সঙ্গে ধর্মীয় সভায় যাওয়ার সময়ে আচমকাই লাঠিচার্জ করে পুলিশ। সভায় যেতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আইএসএফ কর্মীদের আরও অভিযোগ, ইচ্ছে করে সভায় যেতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তারাই পুলিশ সেজে মারধর করছে বলে অভিযোগ।

সূত্রের খবর, ভাঙড়ের পদ্মপুকুর মাঠে একটি ধর্মীয়সভা করতে গিয়েছিলেন আইএসএফ চেয়ারপার্সন আব্বাস সিদ্দিকী। কিন্তু, পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে ওই সভা করার কোনও অনুমতি ছিল না। পুলিশের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, করোনা পরিস্থিতিতে সভা করতে হলে যথাযথ কোভিডবিধি মেনে অনুমতি-সহ সভা করতে হবে। কিন্তু, তা না থাকলে সভা করা যাবে না। এই নিয়ে রীতিমতো রবিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। ভোজেরহাটে আটকে দেওয়া হয় আব্বাস সিদ্দিকীর গাড়িও বলে অভিযোগ। যদিও, তৃণমূলের পক্ষ থেকে কাইজার আহমেদ জানান, তিনি এমন কোনও কিছুই জানেন না।

আইএসএফের তরফে দাবি করা হয়েছে, সভা করার জন্য পূর্বেই পুলিশকে মেইল করে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়েছিল। তারপরেও কেন সভা করতে দেওয়া হল না তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন ভাইজান অনুগামীরা। বিশেষ করে যেখানে তৃণমূলের ফুটবল ম্যাচের  অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অশান্তির শুরু শনিবার থেকে।  পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর,  ভাঙড়ের বড়ালী পদ্মপুকুর এলাকায় সুন্নাতুল জামাতের কর্ণধার তথা পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির একটি ধর্মীয় সভা করার কথা ছিল। অভিযোগ, সেই ধর্মীয় সভা ভেস্তে দিতেই তৃণমূল আব্বাস অনুগামীদের হুমকি দিতে থাকে।  আহলে সুন্নাতুল জামাতের কর্মীরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল বেধে যায় বলে স্থানীয় সূত্রে জামা গিয়েছে।

আইএসএফ কর্মীদের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা ওই এলাকায় আব্বাস অনুগামীদের বাড়িঘরে ভাঙচুর চালিয়েছে। আসাদুল মোল্লা নামে এক আহলে সুন্নাতুল জামাতের কর্মীর বাড়িঘর ভাঙচুর করে এবং তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার খবর পেয়ে ভাঙড় থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। শনিবার রাত পর্যন্ত এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁদের চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। দ্রুত হাসাপাতালে যান ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।

আরও পড়ুন: Bomb Blast: জমিতে গোবর সার দিতে গিয়েছিলেন কৃষক, আচমকাই বিকট শব্দে কেঁপে উঠল এলাকা!