Rezzak-Shaukat : পঞ্চায়েতের আগে আচমকা রেজ্জাকের দুয়ারে শকওত, ভাঙল গুরুর ‘অভিমান’ ? ঘুচল ‘দূরত্ব’?
Rezzak-Shaukat : প্রসঙ্গত, টিভি-৯ বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে কয়েকদিন আগে অভিমানী রেজ্জাক অকপটে বলেছিলেন, “এখন আমি শুধু তৃণমূলের (Trinamool Congress) সমর্থক। সদস্য নই। সদস্য হতে গেলে যে অ্যাক্টিভিটি রাখতে হয়, সেটা আমার নেই।”
ভাঙড় : কয়েকদিন আগে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি হয়েছিলেন টিভি-৯ বাংলার। গলায় ছিল অভিমানের সুর। তৃণমূলের (Trinamool Congress) সঙ্গে যে দূরত্ব ক্রমেই বাড়ছে তাও স্পষ্ট হয়েছিল তাঁর কথাতেই। উল্টে তাঁর সঙ্গে এখনও যোগাযোগ রাখেন পুরনো কমরেডরা। অকপটেই সে কথা বলেছিলেন ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লা (Rezzak Mollah)। রাজনীতির আঙ্গিনায় বরাবরই রেজ্জাক মোল্লাকে গুরু মনে করেন বর্তমানে ভাঙড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা (Saukat Mollah)। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে গুরুর পরামর্শ নিতে এই শওকতই এবার রেজ্জাকের দ্বারস্থ হলেন।
প্রসঙ্গত, টিভি-৯ বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে কয়েকদিন আগে অভিমানী রেজ্জাক অকপটে বলেছিলেন, “এখন আমি শুধু তৃণমূলের (Trinamool Congress) সমর্থক। সদস্য নই। সদস্য হতে গেলে যে অ্যাক্টিভিটি রাখতে হয়, সেটা আমার নেই।” তিনি সাফ জানান, বার্ধক্যজনিত কারণে দলের কাজ আর সেইভাবে করে উঠতে পারেন না। সেইভাবে খোঁজও নেন না দলীয় কর্মীরা। উল্টে রেজ্জাকের দাবি, “বামফ্রন্ট আমলের কর্মীরা রোজই যোগাযোগ রাখে। দেখা করে যায়। নানা পরামর্শ চায়।” তার এ মন্তব্য নিয়ে চাপানউতর শুরু হয়ে যায় ভাঙড়ের রাজনৈতিক মহলে। এবার তাঁর শওকত তাঁর দ্বারস্থ হওয়ায় তা নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে একসময় রেজ্জাকের হাত ধরেই শওকতের রাজনীতিতে হাতেখড়ি, উত্থান। পরবর্তীতে রেজ্জাক সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন। ভাঙড় থেকে বিধায়ক হয়েছেন, হয়েছেন মন্ত্রীও। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা বর্তমানে ভাঙর বিধানসভায় তৃণমূলের পর্যবেক্ষক। এদিকে সাম্প্রতিককালে দলীয় নেতৃত্বের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কাইজার-আরাবুল-শওকতদের গোষ্ঠীকোন্দল। যদিও তিনজনকেই হাতে হাত রেখে মিছিলে হাঁটতেও দেখা গিয়েছে। এমতাবস্থায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে কিভাবে ভাঙরকে এক করা যায় এবং আইএসএফের শক্ত ঘাঁটিকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া যায় সেই পরামর্শ নিতেই গুরুর রেজ্জাকের দ্বারস্থ হয়েছেন শওকত। এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
মঙ্গলবার সকালে আচমকাই বাকরি গ্রামে রেজ্জাকের বাড়িতে গেলেন শওকত। রেজ্জাকের সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিয়ম করতে দেখা যায় শওকতকে। শরীর কেমন আছে সে বিষয়েও খোঁজখবর নেন। গল্পও চলে দীর্ঘক্ষণ। শওকতের ব্যবহারে খুশি রেজ্জাকও। জানালেন, আগামীদিনে শওকতের হাত ধরেই ভাঙরে তৃণমূলের ঘাঁটি পুনরুদ্ধার হতে পারে। শওকত বললেন, সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য এসেছিলাম। তবে ভাঙড় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাঁর পরামর্শ আগামীদিনে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।