Bhangar: বোমাবাজিতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে মাইক হাতে খুঁজলেন শওকত
Bhangar: বোমাবাজিতে নাম জড়ায় হাতিশালার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য মনি সাপুইয়ের। অভিযোগ, এলাকায় সিন্ডিকেট রাজ চালায় মনি। সেই সিন্ডিকেটের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে পুরানো শত্রুতা ছিল আইএসএফ নেতা লাল মহম্মদের বিরুদ্ধে।
ভাঙড়: বোমাবাজি নিয়ে শওকতের স্বীকারোক্তি! মূল অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে মাইক হাতে ‘খুঁজলেন’ ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড় বিধানসভার পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা। মাদ্রাসায় মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সোমবার উত্তাল হয়ে উঠেছিল ভাঙড়ের হাতিশালা এলাকা। শাসকদলের বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগ করেছিল আইএসএফ। মঙ্গলবার সেখানে বোমাবাজির বিরোধিতা করে পথসভা করেন ভাঙড়ের তৃণমূল পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা। ওই সভার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শওকত মোল্লা কার্যত স্বীকার করে নেন তৃণমূলের দোষ। শওকত বলেন, ‘শুধু আমাদের ছেলেরা বোমাবাজি করেনি, উভয় পক্ষ করেছে। আইএসএফ সমান দোষী। পুলিশ তদন্ত করছে।’
ওইদিনের বোমাবাজিতে নাম জড়ায় হাতিশালার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য মনি সাপুইয়ের। অভিযোগ, এলাকায় সিন্ডিকেট রাজ চালায় মনি। সেই সিন্ডিকেটের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে পুরানো শত্রুতা ছিল আইএসএফ নেতা বাবলু মোল্লা বিরুদ্ধে। বাবলু মোল্লা মাদ্রাসা নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিলে মনি সাপুই ও তাঁর দলবল তাঁর বাড়িতে বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। জানলা দিয়ে ঘরের মধ্যে বোমা ছোড়ে। ঘটনার পর থেকে অবশ্য পলাতক মনি সাপুই।
এদিন মাইক হাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিযুক্ত সেই মনি সাঁপুইকে ‘খুঁজলেন’ শওকাত মোল্লা। এদিন মঞ্চ থেকে বারবার তাঁর নাম ধরে ডাকতে দেখা যায় তাঁকে। যা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। আইএসএফ নেতা রাইনুর হক বলেন, নিজেদের দোষ ঢাকতে বোমাবাজি করার পর সেই এলাকায় গিয়ে মিটিং করছে তৃণমূল। আইএসএফ কর্মীদের উপর চাপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে আইএসএফ আর মুখ লুকিয়ে থাকবে না। লোকসভা ভোটে আইএসএফকে সকলে ভোট দেবে।