মনুয়াকাণ্ডের ছায়া! ঘরে পড়ে স্বামীর রক্তাক্ত দেহ, উপড়ানো চোখ! প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েও শেষমেশ পুলিশের জালে স্ত্রী
Bongaon: অভিযুক্তদের দু'জনেরই বয়স ৫৫ পার করেছে। তবু প্রেমের টানে এমন ভয়ানক ঘটনা ঘটিয়েছেন বলেই অভিযোগ।
উত্তর ২৪ পরগনা: এবার মনুয়াকাণ্ডের ছায়া বনগাঁয়। প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় দুই অভিযুক্ত আলপনা সর্দার ও মধু হালদারকে গ্রেফতার করেছে গোপালনগর থানার পুলিশ।
গোপালনগর থানার মোল্লাহাটি শিকারিপাড়া এলাকার প্রফুল্ল মিস্ত্রির দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী আলপনা। ওই বাড়িতেই আবার প্রফুল্লের প্রথম পক্ষের সন্তানরাও থাকেন। প্রথম পক্ষের স্ত্রী চম্পা মিস্ত্রির অভিযোগ, “আলপনা আমার স্বামীর সঙ্গে প্রেম করেছে নাকি বিয়ে করেছে জানি না। একসঙ্গে থাকে। আমি বাড়ি এলেই স্বামীকে যাচ্ছেতাই করে বলে। মারধরও করে। আমি কোনও গোলমালে যাই না। ভাবি স্বামী যদি ওর কাছে ভালবাসা পায়, আমার সন্তানরা মেনে নেয় তাই থাকুক। কিন্তু আলপনার সঙ্গে আবার মধুর খুব ঘনিষ্ঠতা। তা নিয়ে আমার স্বামীর রাগ হতো।”
চম্পার অভিযোগ, তাঁর স্বামীর কাছ থেকে আলপনা ও মধু ১০ হাজার টাকা নেয়। সেই টাকা ফেরত চাওয়াতেই গোলমাল শুরু হয়। এরপরই গত মঙ্গলবার ঘর থেকে প্রফুল্ল মিস্ত্রির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক ছিল। বৃহস্পতিবার তাঁদের ন’হাটা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রতিবেশিদের অভিযোগ, আলপনার সঙ্গে মধুর সম্পর্কের কথা সকলেই জানে। এর মধ্যে প্রফুল্লের মৃত্যুর পর দু’জন পালিয়ে যাওয়ায় সন্দেহ বাড়ে। পরে পুলিশের কাছে ঘটনার কথা স্বীকারও করেন আলপনা। অভিযোগ, শ্বাসরোধ করে খুন করে চোখ উপড়ে নেওয়া হয় ওই ব্যক্তির। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, প্রেমের পথে কাঁটা সরাতেই এই খুন। তবে সবদিক খোলা রেখেই তদন্ত করছে পুলিশ। আরও পড়ুন: মমতার দিল্লি সফরের সময়ই সদলবলে রাষ্ট্রপতির দরবারে শুভেন্দু