WB Panchayat Polls 2023: ক্যানিংয়ে বোমাবাজ দুবৃত্তদের সামনে ঠুঁটো পুলিশ, উর্দিধারীর লাঠির ঘা নিরপরাধ মহিলার গায়ে
WB Panchayat Polls 2023: ব্যাপক বোমাবাজি, আইএসএফ-কে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। চলতে থাকে বেপরোয়া বোমাবাজি। গুলি চালনারও অভিযোগ ওঠে। বুধবার এই সংঘর্ষের মাঝেই আক্রান্ত হয়েছেন TV9 বাংলার চিত্র সাংবাদিক। মাথায় আঘাত পেয়েছেন তিনি।
ক্যানিং: ভাঙড় যখন ‘মেগা শো’ দেখিয়ে দিয়েছে, তখন ‘শো’ দেখাচ্ছে ক্যানিংও। সেখানেও ব্যাপক বোমাবাজি, আইএসএফ-কে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তপ্ত এলাকা। চলতে থাকে বেপরোয়া বোমাবাজি। গুলি চালনারও অভিযোগ ওঠে। বুধবার এই সংঘর্ষের মাঝেই আক্রান্ত হয়েছেন TV9 বাংলার চিত্র সাংবাদিক। মাথায় আঘাত পেয়েছেন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হন সুনীল হালদার নামে এক তৃণমূল নেতাও। আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। এই গোটা অশান্তির চিত্রপটের দুটি অধ্যায়। প্রথম অধ্যায়ে যখন এলাকায় চলছে বেলাগাম সন্ত্রাস, তখন পুলিশকে সেভাবে সক্রিয় হতেই দেখাই যায়নি। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়েনি ধরাপকড়ের কোনও ছবি। ধরা পড়েছে কেবল বোমাবাজির পর লাঠি হাতে এক দল যুবকের উন্মত্ত দাপাদাপির ছবি।
দ্বিতীয়ার্ধের ছবিটা অন্য। এবার ক্যানিংয়ে মনোনয়ন কেন্দ্রের অদূরেই শয়ে শয়ে পুলিশ। পুলিশ এবার লাঠি উঁচিয়ে সন্ত্রাস দমনে নামে। বেধড়ক লাঠিপেটা শুরু। সেটা নির্বিচারে। এতক্ষণে যাদের লাঠি, লোহার রড বাঁশ হাতে ‘এরিয়া ডমিনেশন’ করতে দেখা গিয়েছিল, তারা এবার ফ্রেমে নেই। বরং রাস্তায় রয়েছেন এমন কয়েকজন, যাদের হাতে কোনও রড, লাঠি কিংবা বাঁশ নেই। দেখা গেল পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে তাঁদের দিকেই তেড়ে যাচ্ছেন। এমন ছবিও ধরা পড়ে, দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক মহিলার দিকেও লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে গিয়েছে পুলিশ। পুলিশ প্রশাসনের বক্তব্য, জমায়েত সরাতেই নাকি এই পদক্ষেপ। প্রশ্ন, তাহলে যখন বোমাবাজি হল, মাথা ফাটল সাংবাদিকের, গুলি চলল, তখন পুলিশ কোথায়? তারপর হঠাৎই কেন এই তৎপরতা? তাহলে কি পুলিশ ওপর থেকে কোনও নির্দেশের অপেক্ষায় ছিল?
মঙ্গলবার ক্যানিংয়ে বিজেপি প্রার্থীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তা অস্বীকার করেছিল তৃণমূল। বুধবার ক্যানিং শহরে সিপিএমের একটি পার্টি অফিসের ভিতর ঢুকে দলীয় কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে।
ক্যানিং তৃণমূল সূত্রেই খবর, এলাকার ব্লক সভাপতি এবং স্থানীয় বিধায়কের গোষ্ঠীর মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে বিবাদের জেরে বুধবার ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। আর সেই আবহেই সিপিএমের দলীয় কার্যালয়েও ভাঙচুর চলে। ক্যানিং হাসপাতাল মোড় এলাকায় তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। হয় বোমাবাজি।