Canning Hospital: রাতে হাসপাতালের সামনের মাঠে ঘুমিয়ে ছিলেন মহিলা, ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার শিকার…
South 24 Parganas News: ক্যানিংয়ের ইটখোলা গ্রামপঞ্চায়েতের মধুখালি গ্রামের বাসিন্দা সবিতা মণ্ডলও সোমবার রাতে শুয়েছিলেন হাসপাতাল চত্বরে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাতের অন্ধকারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বড় বিপদ থেকে বাঁচলেন রোগীর আত্মীয়। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে একটি হোর্ডিং ভেঙে এক ঘুমন্ত মহিলা জখম হন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে এই ঘটনা নিয়ে হইচই পড়ে যায় হাসপাতালচত্বরে। যিনি জখন হন, তিনি এক রোগীর আত্মীয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সবিতা মণ্ডল নামে ওই মহিলার জখম এতটাই বেশি ছিল যে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল তাঁকে ভর্তি নিয়ে নেয়। সবিতার সঙ্গে থাকা অন্যান্য রোগীর পরিবার পরিজনেরাই রাতে তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে যাত্রী প্রতীক্ষালয় রয়েছে। তবে সেই যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি খুবই অল্প জায়গায়। খুব বেশি হলে রাতে চার পাঁচজন রোগীর আত্মীয় বিশ্রাম নিতে পারেন। রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, এর ফলে বাকি রোগীর আত্মীয়রা কিছুটা বাধ্য হয়েই হাসপাতালচত্বরে এদিক ওদিক খোলা জায়গায় গিয়ে রাত কাটান।
ক্যানিংয়ের ইটখোলা গ্রামপঞ্চায়েতের মধুখালি গ্রামের বাসিন্দা সবিতা মণ্ডলও সোমবার রাতে সেভাবেই শুয়েছিলেন হাসপাতালচত্বরে। তাঁর এক আত্মীয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সারাদিন আত্মীয়ের দেখভাল করেন সবিতা। রাতে বাইরে এসে ঘুমোন। যেহেতু খোলা মাঠ, তাই মশার উপদ্রবও বেশি।
সে কারণে অন্যান্য রোগীর আত্মীয়দের মতো সবিতাও হাসপাতালের হোর্ডিংয় লাগানো লোহার খুঁটিতে দড়ি দিয়ে মশারি টাঙিয়ে ঘুমিয়েছিলেন। তখন অনেকটাই রাত। সকলে ঘুমে অচেতন। আচমকা কোনওভাবে মশারির দড়িতে টান লেগে যায়। এরপরই ওই হোর্ডিং হুড়মুড়িয়ে ভেঙে তাঁর উপর পড়ে বলে অভিযোগ সঙ্গে থাকা রোগীর আত্মীয়দের।
সবিতা মণ্ডলের মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে জোরাল আওয়াজে অন্যান্য রোগীর আত্মীয়দেরও ঘুম ভেঙে যায়। ধড়ফড়িয়ে ওঠেন তাঁরাও। তাঁরাই তড়িঘড়ি ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “হোর্ডিংটা এসে মাথায় পড়ে ওই মহিলার। আমরা তারপরই তাড়াহুড়ো করে ওনাকে মশারির ভিতর থেকে বের করে আনি। হাসপাতালে এনে ভর্তি করানো হয়।” যদিও এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি। তাদের বক্তব্য পাওয়া গেলে তা এই প্রতিবেদনে যুক্ত করা হবে।